ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে পরিবহণ ধর্মঘটের জেরে বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ায় আমদানি-রফতানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে যাওয়া পণ্যবাহী ট্রাক খালাস করার জন্য সেখানকার শ্রমিকরা বকশিশের নামে অস্বাভাবিক পরিমাণে অর্থ দাবি করেন বলে অভিযোগ।
সোমবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে পেট্রাপোল সীমান্তে পরিবহণ সমিতির পক্ষ থেকে ধর্মঘট পালন করলে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা এদিন পেট্রাপোল সীমান্তে মাইক বেধে পথসভার মধ্য দিয়ে তাদের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে এর প্রতিকারের দাবিতে সোচ্চার হন।
সোমবার সকাল থেকে একটানা বিকেল প্রায় চারটা পর্যন্ত অচলাবস্থা চলার পরে অবশেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হলে বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়। সোমবার সন্ধ্যায় পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্যবাহী গাড়ি বেনাপোল বন্দরে গেলে সেখানকার শ্রমিকদের পক্ষ থেকে গাড়ি প্রতি তিন/চার হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেখানকার শ্রমিকরা কার্যত এ নিয়ে অর্থনৈতিক অত্যচার শুরু করেছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের কাস্টমসের সহকারী কমিশনারের মধ্যে কথা হয়েছে। আমি নিজেও বাংলাদেশের কাস্টমসের এসি’র সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দেওয়ার পরে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়।’
পরিবহণ সমিতির সম্পাদক দিলীপ দাস বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া গাড়ি খালাসের জন্য গাড়ি প্রতি আমরা সেখানকার শ্রমিকদের একটা বকশিশ দিতাম। দশ টাকা থেকে শুরু হয়ে তা আজ এত বড় হয়ে গেছে যা আমাদের পক্ষে দেওয়া আর সম্ভব নয়। এখন বলছে গাড়ি প্রতি তিন হাজার/সাড়ে তিন হাজার ভারতীয় টাকা দিতে হবে! কেন আমরা এত টাকা দিতে যাব? প্রয়োজনে এই সীমান্তে আমরা গাড়ি চালাবো না। বন্ধ করে দেবো।’
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যাতে দু’দেশের কয়েক লাখ মানুষের স্বার্থে বাণিজ্য সচল থাকে সেই বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সদর্থক পদক্ষেপ নেবে বলে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী আশাপ্রকাশ করেছেন।