যমুনায় পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ৫টি গ্রাম বিলীনের পথে। গ্রামগুলো হলো-বোয়ালকান্দি, মহেশপুর, খাষপুখুরিয়া, চরসলিমাবাদ ও বারবালা।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে খাষপুখুরিয়া গিয়ে দেখা যায় গ্রামের আব্দুল মান্নান বেপারী, মোঃ মোকদম বেপারী ,আঃ সামাদ প্রামানিক,শহিদুল ইসলাম, মৃত মুছা প্রামানিকের স্ত্রী সূর্য ভানু, মৃত বাতেন আলীর স্ত্রী রহিমা খাতুন ঘর-বাড়ি, গাছপালা ও আসবাবপত্র সরাতে ব্যস্ত।
যমুনার পূর্ব পাড়ে অবস্থিত সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নদী ভাঙ্গনে ৪ বছর আগেই পুরো উপজেলা পরিষদ ও সদরের ৭/৮টি গ্রাম বিলীন হয়েছে। পানি বাড়ায় দু সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বোয়ালকান্দি, মহেশপুর, খাষপুখুরিয়া, চরসলিমাবাদ ও বারবালা গ্রাম এখন বিলীনের পথে।
খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকার ও খাষপুখুরিয়া বি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আবু দাউদ জানান, স্থায়ী প্রতিরোধ কাজ আপাতত না করা গেলেও চৌহালীর মানচিত্র থেকে ৫টি গ্রাম না হারাতে দ্রুত জিও টেক্স ব্যাগে বালু ফেলে রক্ষা কাজ করা প্রয়োজন৷
দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গন ঠেকাতে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার মাধ্যমে প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আগামীতে টাঙ্গাইল ও চৌহালীকে স্থায়ী ভাবে রক্ষায় ১হাজার ৯৭০কোটি টাকায় কাজ বাস্তবায়িত হলে এলাকাবাসীকে নদী নিয়ে আর আতঙ্কে থাকতে হবে না।
স্থানীয় মোকদম আলী বেপারী ঘর টানতে ছিলেন আর বলতে ছিলেন, আমাদের আর কিছুই থাকলো না সব শেষ হইয়া গেলো, একটা ঘর সরাতে পারলেও আর একটা ঘর নদীতে গেলো আমরা এখন কোনহানে যামু কোথায় থাকমু? কেরা আমাদের সাহায্য করবো?
স্বামী হারা সূর্য ভানু বলেন, আমাগেরে ঘর-বাড়ি নদীতে গেছে , এখন কী করমু ,কী খিমু! সরকার আমাগেরে সাহায্য না করলে খোলা আকাশের নিচে নাখেয়ে মরতে হবে৷