ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করা হবে বলে জানানো হয়েছিলো দলের পক্ষ থেকে। এরশাদের ভাই জিএম কাদের সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন এই তথ্য। এই ঘোষণার পর রবিবার বিকালে বনানী কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। এসময় এরশাদকে উন্মুক্ত স্থানে দাফনের দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন দলের নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বনানী সামরিক কবরস্থানে কেন তাকে দাফন করা হবে? তারা বলছেন, ওখানে এরশাদকে দাফন করার মধ্যে দিয়ে জাতীয় পার্টিকেও দাফন করা হবে।
জাতীয় পার্টির কর্মী আজহার বলেন, ‘স্যারকে ওখানে কেন দাফন করা হবে? উনাকে ওখানে দাফন করার চেয়ে রংপুরে দাফন করা ভালো। প্রয়োজনে আমরা ৫০০ টাকা করে তুলে উনার দাফনের জন্য জায়গা কিনে দেব। বনানী কবরস্থানে উনাকে দাফন করা যেতে পারে।’
জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হাসান বলেন, ঢাকার যে কোনো উন্মুক্ত স্থানে সুন্দর পরিবেশে দাফন করতে হবে। এটাই আমাদের দাবি।
এরপরই সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো জাপা। এরশাদের দাফন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ। রবিবার বিকেলে দলীয় নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের পর তিনি একথা জানান।
উন্মুক্ত স্থানে এরশাদকে দাফনের বিষয়ে নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের পর মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, ‘এরশাদের দাফন কোথায় হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। আগামী ১৬ জুলাই দলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচির রাঙা বলেন, ‘নেতাকর্মীদের দাবি অনুয়ায়ী এরশাদের দাফন কোথায় হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এরশাদ সাহেব চেয়েছেন সেনাবাহিনীর কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হোক। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মীদের দাবিকে প্রাধ্যান্য দিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কার্যালয়ে বিফ্রিং শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাঙ্গাঁ। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, দাফনের জায়গা পরিবর্তন হতে পারে।
দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান বলেন, পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন।