কুমিল্লা লালমাইয়ে মক্তবে যাওয়ার পথে মাদ্রাসাছাত্রীকে কালো কাচের মাইক্রোবাস ব্যবহার করে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোট ৬টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার পেরুল গ্রামে ওই অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। লালমাই থানার ওসি বদিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাদ্রাসা ছাত্রী তাসলিমা আক্তার (১৫) লালমাই উপজেলার কাঁকসার গ্রামের মো. কালাম মিয়ার মেয়ে। নানার বাড়ি একই উপজেলার পেরুল গ্রামে থেকে পড়ালেখা করেন। তাসলিমা উপজেলার ফয়েজগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামা মফিজুর রহমান জানানা, তাদের বাড়িটি কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ও রেল সড়কের মাঝ খানে পড়েছে। তাসলিমা প্রতিদিনের মতো ভোট ৬টার দিকে মক্তবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। আজকে বাড়ি থেকে বের হলে দেখে বোরকাপরা অজ্ঞাত একটি মহিলা বাড়ির সামনে বসে থাকে। ওই অজ্ঞাত মহিলা তার কাছে দান-খয়রাত চায়।
তাসলিমা বলে এটা আমার নানার বাড়ি আপনি ভিতরে যান। এই বলে সে মহাসড়ক পাড় হতে গেলে ওই বোরকা পরা মহিলা পিছন থেকে কোলে নিয়ে অচেতন করে কালো কাচের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাইক্রোটি বিজয়পুর পৌঁছলে তার জ্ঞান ফিরে। দেখে গাড়িতে আরও দুইটি বাচ্চা রয়েছে।
বাচ্চাগুলো কান্না করায় কিছু সময় পর গাড়ি থামিয়ে ওই মহিলা মোবাইলে কথা বলতে নামে। ঠিক ওই সময় তাসলিমা কৌশলে গাড়িতে থেকে লাফিয়ে নেমে পালিয়ে আসে। পরবর্তীতে আমরা পুলিশকে অপহরণের বিষয়টি জানিয়েছি।
লালমাই থানার ওসি বদিউল আলম বলেন, অপহরণের চেষ্টার বিষয়টি আমরা শুনেছি। মেয়েটি মক্তবে যার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে অজ্ঞাত একটি মহিলা তার মুখ চেপে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণের চেষ্টার করে। বিজয়পুর পৌছলে মেয়েটি কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে আসে। তবে কোন স্বাক্ষী পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।