Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাবিতে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে শিক্ষক অবরুদ্ধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯, ১০:৩০ PM
আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯, ১০:৩০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে ওই শিক্ষককে তার চেম্বারে আটকে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভকারীরা তালা খুলে দেন। এ সময় তারা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

মারধরের অভিযোগ আনা ওই শিক্ষার্থীর নাম সুপ্ত সাহা অনিক। সে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম এ টি এম এনামুল জহীর।

সুপ্ত সাহার অভিযোগ, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্ত তার বান্ধবীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হন। ক্যাম্পাসের পুরাতন ফোকলোর চত্বরের পুকুর পাড়ে শিক্ষক এনামুল তাদেরকে ডাক দেন। 

এ সময় তিনি মেয়েটিকে কটুক্তি করে কথা বলেন। সুপ্ত এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষক এনামুল তাকে কিল ঘুষি মারেন এবং চলে যেতে বলেন। পরে সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন শিরাজী ভবনের সামনে আবার তাদের পথরোধ করেন এবং সুপ্তকে মারধর করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে তার চেম্বারে অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিকাল ৫টার দিকে সুপ্ত বন্ধুদেরকে নিয়ে শিক্ষক এনামুলের চেম্বারে আসেন। তখন ওই শিক্ষক তাদেরকে অপমান করে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে শিক্ষকের চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নেন।

তারা মেয়েটিকে কটুক্তি করা ও শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন। ঘণ্টাখানেক পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান সহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা চেম্বারের তালা খুলে দেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক এনামুলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।

জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আমি সুপ্তকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।

Bootstrap Image Preview