আমাদের মধ্যে অনেকেই হাঁটু বা গাঁটের ব্যাথায় ভুগছেন। শরীরচর্চার ঘাটতি, অনিয়মিত ডায়েট, ক্যালসিয়ামের অভাবে ধীরে ধীরে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথমদিকে হাঁটু বা গাঁটের ব্যথাকে আমরা তেমন গুরুত্ব দিতে চাই না। পরে যখন পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়, তখন একগাদা ওষুধ খেয়েও খুব একটা ফল মেলে না।
তাই গাঁটের ব্যথায় ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন। আসুন জেনে নিন গাঁটের ব্যথা উপশমের কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি-
হলুদ-আদার মিশ্রণ: দুই কাপ পানির সঙ্গে হলুদ ও আদা ফুটিয়ে নিন। ফুটে যখন মোটামুটি আধ-কাপের মতো হয়ে যাবে তখন সেটিকে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এরপর হলুদ-আদার ওই মিশ্রণে ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। দিনে অন্তত দুইবার এই মিশ্রণ পান করুণ। গাঁটের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
লবন-পানির সেঁক: এপসম সল্ট বা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সমৃদ্ধ সৈন্ধব লবন যে কোনো ব্যথা উপশমে কার্যকরী। ছোট এক কাপ সৈন্ধব লবন পানির মধ্যে গুলে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার সেটা ফুটিয়ে ব্যথার জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে সেঁক দিন। এভাবে নিয়মিত সেঁক দিলে গাঁটের ব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।
ঠান্ডা-গরম সেঁক: হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি নিয়ে ব্যথার জায়গায় ৫ মিনিট সেঁক দিন। জায়গাটা গরম হয়ে উঠলে সেখানে বরফ ঘষে মালিশ করুন। এই পদ্ধতিতে মোটামুটি ৩০ মিনিট গরম-ঠান্ডা সেঁক দিন। গাঁটের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
মেথি: যে কোনো জ্বালা-যন্ত্রণা দ্রুত কমাতে মেথি অত্যন্ত কার্যকরী। গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পেলে নিয়মিত সামান্য গরম পানিতে মেথি ভিজিয়ে পান করুণ। অথবা সারা রাত এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ওই মেথি ভেজানো পানি পান করুন। গাঁটের ব্যথায় উপকার পাবেন।
মরিচ গুঁড়া ও নারকেল তেলের মিশ্রণ: চিকিত্সকদের মতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে ক্যাপসাইসিন অত্যন্ত কার্যকর। লালমরিচে প্রচুর পরিমাণ ক্যাপসাইসিন রয়েছে। আধাকাপ নারকেল তেলে ২ চামচ লালমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় অন্তত ২০ মিনিট মালিশ করুন। এরপর উষ্ণ পানিতে জায়গাটা ভালো করে পরিষ্কার করে ফেলুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই পদ্ধতিতে মালিশ করলে গাঁটের ব্যথা কমবে।
গাজর-লেবুর মিশ্রণ: দুটি মাঝারি মাপের গাজরের রস করে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে সেটি খালি পেটে পান করুন। নিয়মিত এই মিশ্রণ পান করলে অল্প সময়ের মধ্যেই গাঁটের ব্যথায় উপকার পাওয়া যাবে।