Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ট্রাম্পের ই-মেইল কেলেঙ্কারিতে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০১৯, ১০:২৮ AM
আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯, ১০:২৮ AM

bdmorning Image Preview


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নিয়ে সমালোচনা করে ই-মেইল ফাঁসের জেরে পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডারখ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে ওই তথ্য জানা যায়। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। এর আগে কিম ডারখ বলেছিলেন, ‘তার আর এই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।’ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীপ্রার্থী বরিস জনসন তাকে সমর্থন না দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনকে 'অদ্ভুত এবং নিষ্ক্রিয়' উল্লেখ করে কিমের ই-মেইল প্রকাশ পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে ‘একজন মূর্খ ব্যক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন। ২০১৭ সালের ওই ই-মেইলে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে "অন্তর্ঘাত ও বিশৃঙ্খলার" গুজব বেশিরভাগই সত্য। পরে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, কিমের সাথে বিষয়টি নিয়ে বোঝাপড়ায় যাবে না যুক্তরাষ্ট্র।

এরপর পররাষ্ট্র দফতরে দেওয়া এক চিঠিতে কিম বলেন, তার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শেষ করতে চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমি যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে পছন্দ করি বর্তমান অবস্থায় সেটি সম্ভব নয়।’

কিমের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তার পক্ষে ব্যাপক সমর্থন হলেও বরিস জনসনের বিরুদ্ধে সমালোচ শুরু হয়েছে। আরেক প্রার্থী জেরেমি হান্ট তাকে বারবার প্রশ্ন করেন যে, প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি স্যার কিমকে স্বপদে বহাল রাখবেন কিনা। তবে এ প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি। তিনি বলেন, "সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিধিতে টেনে আনা ঠিক নয়।"

লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেন, জনসন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘মধুর বাণিজ্য চুক্তি’ করতে চেয়েছিলেন এবং স্যার কিমের প্রতি তার সমর্থন হীনতা প্রমাণ করে যে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না তিনি।’

Bootstrap Image Preview