Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ছাত্রদের বলাৎকার ও ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত শিক্ষক ওবাইদুল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০১৯, ০৮:১৫ PM
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯, ০৮:১৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রদের বলাৎকার ও ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. ওবাইদুল ইসলাম। তিনি কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এ বিষয়ে কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন তিনি। সব অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ময়মনসিংহ আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম স্কুলের বিভিন্ন ছাত্রকে পড়ানোর নাম করে তাদের সঙ্গে সমকামিতা করতেন। কোনো ছাত্র রাজী না হলে তার বাড়িতে গিয়ে রাত যাপন করতেন। ইংরেজি বিষয়য়ে ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের সমকামিতায় বাধ্যও করতেন ওই শিক্ষক। এছাড়াও স্কুলের ভেতরেই বিভিন্ন ছাত্রীদের নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে তাদের শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে হাত দিতেন। জড়িয়ে ধরে যৌন নির্যাতনও করতেন।

পরবর্তীতে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একজোট হয়ে স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। পরে কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহমদ আল ফরিদ ওই শিক্ষকে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস জানিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

অপরদিকে, অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় এলাকার ছাত্রলীগের সদস্য জাফর আহমেদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ওবাইদুল ইসলাম। এতে এলাকাবাসী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

এছাড়াও অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি করে তিনি আরও জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ- পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ময়মনসিংহ আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি বর্তমানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।

এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা সিদ্দিকা লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। ফলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে।

অপরদিকে, এ সকল ঘটনা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে ওবাইদুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগই মিথ্যা ও বানোয়াট। কোনো একটি বিশেষ মহল তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

Bootstrap Image Preview