Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিন্নির নিরাপত্তায় বাড়ির পাশে ঘর তুললো পুলিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০১৯, ০৭:৩৭ PM
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯, ০৭:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


বরগুনায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে মিন্নির বাড়িতে পুলিশের তিনটি ডিউটি পোস্ট বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ সদস্য। মিন্নির নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দশজন পুলিশ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে মিন্নির বাবা ও পুলিশ।

গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে হত্যার পরই মিন্নির বাড়িতে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) এবং তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়। তবে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে একজন উপপরিদর্শক ও পরিদর্শকের নেতৃত্বে ৯ জন কনস্টেবল বাড়ির তিনটি ডিউটি পোস্টে অবস্থান করছেন।

আজ সোমববার সকালে বরগুনা সদরের নয়াকাটা গ্রামে মিন্নিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের ঘরের সামনে পুলিশের থাকার জন্য নতুন করে একটি টিনের ঘর তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশের টিম সার্বক্ষণিক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া বাড়ির পেছনে দুটি এবং সামনে একটি টিনের চালা দিয়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে।

এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের নতুন একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর মিন্নির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ২৬ জুন ১০টা ১২ মিনিটে রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে কলেজের গেট দিয়ে বের হয়ে আসেন। হঠাৎ মিন্নি পেছন থেকে পুনরায় কলেজের দিকে চলে গেলে রিফাতও তার সঙ্গে কলেজের দিকে যান।

এর একটু পরই রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর নেতৃত্বে কয়েকজন রিফাত শরীফকে কিলঘুষি মারতে মারতে নয়ন বন্ডের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় স্ত্রী মিন্নি পেছনে পেছনে স্বাভাবিক গতিতে হাঁটছিলেন। পরে রিফাত শরীফকে কোপানোর সময় মিন্নি তাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করেন। তবে তার আগে রিফাতকে সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে নির্লিপ্ত দেখা গেছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই মামলার ২ নম্বর আসামি এবং কিলিং মিশনের নেতৃত্বদানকারী রিফাত ফরাজীকে গ্রেফাতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই মিন্নির বাড়িতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মিন্নিকে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে কি না অথবা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হবে কি না, জানতে চাইলে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ‌এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

Bootstrap Image Preview