Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

২০ বছরের প্রচেষ্টায় মরুভূমিকে অরণ্যে পরিণত করেছেন এই দম্পতি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০১৯, ১২:১৩ PM
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯, ১২:১৫ PM

bdmorning Image Preview


চারিদিক জুড়ে শুধু ছিল খাঁ খাঁ জমি। কোথাও গাছ, ঘাস, লতাপাতা বা ঝোঁপঝাড়ের তেমন অস্তিত্বটুকুও ছিল না। ২০ বছরে সেই অঞ্চল এখন সবুজের অরণ্য। সেই শুষ্ক খাঁ খাঁ জমিকে বছরের পর বছর শ্রম দিয়ে আস্ত এক ঘনজঙ্গলে পরিণত করেছেন ব্রাজিলিয়ান এক দম্পতি।

জানা যায়, ব্রাজিলের ইনস্টিট্যুটো টেরা নামের জায়গায় এক ব্রাজিলিয়ান দম্পতির চেষ্টায় গড়ে উঠেছে সবুজ অরণ্য যা এখন বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর নিরাপদ ঠিকানা।

ফটোগ্রাফার সেবাস্তিয়াও সালগাদো এবং তাঁর স্ত্রী লেলেয়া ডেলুইজ ওয়ানিক সালগাদোর দীর্ঘ ২০ বছরের চেষ্টায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া জঙ্গল প্রতিস্থাপনের গল্পটি সবাইকে অনুপ্রাণিত করে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান চিত্রসাংবাদিক সেবাস্তিয়াও সালগাদো ছোটবেলায় অরণ্যের কাছাকাছি অঞ্চলে থাকলেও কাজের সূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা পাড়ি দেন। বহু বছর পর পরে দেশে ফিরে বন্যপ্রাণী ভরা অরণ্যের জায়গায় শুকনো জমি দেখে হতাশ হন।

কিন্তু কী করে ঘন সবুজ বন একেবারে হারিয়ে গেল? সেবাস্তিয়াও জানান, এর জন্য অনেকটাই দায়ী তাঁদের পরিবার। পারিবারিক ও আর্থিক কারণে এলাকার বেশির ভাগ গাছ কেটে ফেলেন তাঁর বাবা। সেই ‘পাপ’ ঢাকতে মনস্থির করেন সস্ত্রীক সেবাস্তিয়াও। এ ভাবেই শুরু হয় এই দম্পতির বন প্রতিস্থাপনের আশ্চর্য যাত্রা।

দ্য গার্ডিয়ানে সাক্ষাৎকারে সেবাস্তিয়াও বলেন, ‘জমিটির সব কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ০.৫ শতাংশ জমিতে গাছ ছিল। এরপর আমি ও আমার স্ত্রী মিলে এই বনের একটি প্রতিলিপি কল্পনা করে কাজ শুরু করলে ধীর ধীরে কীটপতঙ্গ, পাখি, মাছ ফিরে আসতে শুরু করে।’

এই দম্পতি 'ইনস্টিট্যুটো টেরা' নামের একটি ছোট সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা প্রায় চার লক্ষ গাছ রোপণ করেন।

সেবাস্তিয়াও বলেন, পরিবেশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বনের পুনরুত্থান করা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে এই বন্য পরিবেশ, যেখানে বন্য পশুরা আবার ফিরে আসতে পারে তা গড়ে তুলতে সাধারণ গাছের পাশাপাশি, বন্য উদ্ভিদের বীজ রোপণ করাও প্রয়োজন।

বিগত ২০ বছর ধরে এই সেবাস্তিয়াও এবং তাঁর স্ত্রী লেলেয়া ডেলুইজ এই জায়গাটির যত্ন নেন। এখন এই জঙ্গলে ১৭২ প্রজাতির পাখি, ৩৩ রকমের স্তন্যপায়ী, ২৯৩ প্রজাতির গাছপালা এবং ১৫টি প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে।

Bootstrap Image Preview