Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই আমার লক্ষ: প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৫ AM
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৫ AM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার শুধু একটাই লক্ষ্য- তা হল জনগণকে উন্নত জীবন দেয়া এবং দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া।

চীনের রাষ্ট্রীয় ইংরেজি ভাষার চ্যানেল সিটিজিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চীন সফরকালে দেয়া এ সাক্ষাৎকারটি শুক্রবার সিটিজিএন তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপনে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন। এ সময় চীনের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা বলেন, চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

সিটিজিএনের সাক্ষাৎকারে ১৯৭৫ সালে পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হারানোর বেদনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ করতে ৬ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ফিরে আসেন। তিনি চেয়েছেন তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা কী করতে চেয়েছিলেন, তা যখনই ভাবি তখনই আমি তার ডায়েরি পড়ি। সেটা আমার অনুপ্রেরণা।

আমার বাবা সবসময় জনগণের কথা ভাবতেন। কারণ তারা ছিল খুবই গরিব। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ ছিল গরিব। এই জনগণের জন্যই বাবা আত্মনিয়োগ করেন। তিনি জনগণের দুঃখ কষ্ট জানতেন।

সিটিজিএনের সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনিতো বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় এবং ক্ষমতাধর নারী। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অনুভব করি জনগণের সেবা করতে হবে আমাকে। অবশ্যই জনগণও আমাকে ভালোবাসেন। আপনি জানের আমি আমার বোন ছাড়া পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। তবে জনগণই আমার আসল পরিবার। তারা আমার আপনজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চীন ও প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কী করে আরও সহযোগিতা বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ করছি। সত্যি বলতে কি, চীন তো আমাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেই যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে চীনের অনেক কোম্পানি আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার মিলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

যেটাকে বলা হয়, বিসিআইএন অর্থনৈতিক করিডোর। তিনি আশা করেন, এই চুক্তি ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী চীনের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ভীষণ সন্তুষ্ট। এটা ভিন্ন ধরনের এক সন্তুষ্টি যে, আমার প্রতিবেশী যথেষ্ট উন্নতি করছে। আমরা চীনের কাছ থেকে শিখতে পারি এবং একযোগে কাজ করতে পারি।

বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সদ্য সমাপ্ত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তারা নিজেদের মধ্যে নানা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বিনিময় করেছেন।

Bootstrap Image Preview