Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সকালে অপহরণ, বিকালে গাড়ি থেকে লাফিয়ে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০১৯, ০৯:২৮ PM
আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯, ০৯:২৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাজধানীতে সিনেমার কায়দায় অপহরণের শিকার হওয়ার পর উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার জোড়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ফারাবি হুসাইন (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী। সে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মুগদা শাখার দশম শ্রেণীর ছাত্রী।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে মুগদা শাখার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় একদল দুর্বৃত্ত তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ সময় অপহরণকারীরা নেশাজাতীয় কিছু দিয়ে মেয়েটিকে অচেতন করে ফেলে। পরে বিকাল ৪টার দিকে ওই মাইক্রোবাসটি ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জে পৌঁছালে মেয়েটি কৌশলে গাড়ির দরজা খুলে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, দৌড়ে পাশের একটি ফলের দোকানে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাবার নাম অ্যাডভোকেট সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী। তিনি ঢাকা বারের আইনজীবী। বাসা রাজধানীর বাসাবো এলাকায়।

এ বিষয়ে ফলের দোকানের মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, মেয়েটি দৌড়ে এসে তার দোকানের সামনে পড়ে যায়। ঠিকমতো কথাও বলতে পারছিল না। ওর সঙ্গে থাকা আইডি কার্ড থেকে জানা যায় মেয়েটি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মুগদা শাখার দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর কিছুটা স্বাভাবিক হলে সে তার বাবার মোবাইল নাম্বার জানায়। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

এছাড়াও ফারাবির বাবা সেকান্দার আলী জানান, সকালে পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায় ফরাবি। পরীক্ষা শেষে স্কুলের সামনে সে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন একটি মাইক্রোবাস তার সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। এ সময় তাকে নেশাজাতীয় কিছুর মাধ্যমে অচেতন করে ফেলা হয়।

অপহরণের বিষয়ে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ফারাবি জানায়, ওই গাড়িতে আরো কয়েকটি মেয়ে ছিল। তার মতো ওদেরও অপহরণ করা হয়েছে। তাকে গাড়িতে তোলার পর মুখে কিছু একটি চেপে ধরা হয়। এতে অর্ধ অচেতন হয়ে পড়ে সে। তবে মাঝে মাঝে সে অপহরণকারীদের কথা শুনতে পাচ্ছিল। এক পর্যায়ে সে গাড়ির সুইচ চেপে দরজা খুলে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, মেয়েটি সম্ভবত পাচারকারীদের হাতে পড়েছিল। তবে বুদ্ধির জোরে সে বেঁচে গেছে। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা-মা আসলে ওকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এছাড়াও তিনি আরও জানান, মেয়েটির বাবা মুগদা থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মুগদা থানা পুলিশ চাইলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

Bootstrap Image Preview