ইউনিস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে 'সুন্দরবন'

সুন্দরবন ইউনিস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে মানবধিকারকর্মী ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুলতানা কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘আগামী ৩০ জুন থেকে ১০ জুলাই আজারবাইজানের রাজধানী বাকু শহরে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি ৪৩তম সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত সভায় বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের সুপারিশ সমূহের ওপর আলোচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সুন্দরবন বিষয়ে কেন্দ্রের সুপারিশ যদি কমিটি চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে সুন্দরবন তার বর্তমান বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান হারাবে। সারা বিশ্বের দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এটি একটি বড় অযোগ্যতা, ব্যর্থতা ও লজ্জাকর হবে।’

শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সুন্দরবন সুরক্ষায় ইউনেস্কোর সর্বশেষ সুপারিশ বনের প্রতি সরকারের অবহেলা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে- আমাদের দেশে যে সম্পদ আছে তার মালিক হচ্ছে জনগণ। শুধুমাত্র সরকারের ইচ্ছার প্রেক্ষিতে এদেশের কোনও সম্পদের ওপর সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। জনগণের আপত্তির মুখে যদি এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা অসাংবিধানিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনও ধরনের আন্দোলনকে অবজ্ঞা করতে পারে না। যদি করে তা অগণতান্ত্রিক আচরণ।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষায় এখনই কোনও আল্টিমেটামে আমরা যাবো না। এখনও সময় আছে। আমরা ১৩টা গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। দেড় বছর আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছি তবে এখনও কোনও উত্তর পায়নি।’

সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা চাই সরকার তার ভুল অবস্থান থেকে সরে এসে রামপাল প্রকল্প বাতিল করুক। বনবিরোধী সকল স্থাপনা উৎখাত করুক। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে যথেষ্ট পরিমাণে কয়লার বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ তৈরি করুন।’

সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে কবি শামসুল হুদা বলেন, ‘সুন্দরবনের ওপর ১৫-১৭টি জেলার মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস করা। বাংলাদেশের প্রাণ হচ্ছে প্রকৃতি।’