Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এক বছরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত বেড়েছে ১ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০১৯, ১১:৩৬ AM
আপডেট: ২৮ জুন ২০১৯, ১১:৩৬ AM

bdmorning Image Preview


এই বছর আবার সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় যা এক হাজার ২৭৪ কোটি টাকা বেশি। চলতি বছর বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল চার হাজার ৬৯ কোটি টাকা।  সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের তথ্য গোপন করার আইন অনেক কঠোর। তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক চাপে কিছু কিছু তথ্য প্রকাশ করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোন দেশের নাগরিকদের কত অর্থ জমা আছে তা প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। তবে একক অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করা হয় না। সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকের সংখ্যা ২৪৮টি। গ্রাহকের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর তারা। ধারণা করা হয়, অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো অর্থ এখানে রাখা হয়।

বৃহস্পতিবার এসএনবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ; দেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা (প্রতি ফ্রাঁ ৮৬ দশমিক ৪১ টাকা ধরে)। এক বছর আগে এ অঙ্ক ছিল ৪৮ কোটি ১৩ লাখ ফ্রাঁ বা ৪ হাজার কোটি টাকা।

সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গোপন রেখে অর্থ জমা রাখলে ওই অর্থ এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত নয়। গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি এ প্রতিবেদনে। এ পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যায়, তাতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর বাংলাদেশিদের আমানত বাড়ে সুইস ব্যাংকে। মাঝে ২০১৭ সালে আমানতের পরিমাণ কমলেও গত বছর বেড়েছে। বাংলাদেশিদের জমার অর্থের পরিমাণ বাড়লেও সামগ্রিকভাবে ২০১৮ সালে আমানত কমেছে সুইস ব্যাংকগুলোয়।

সাবেক তত্তবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার কারণে মানি লন্ডারিং বেড়েছে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

Bootstrap Image Preview