Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাবির ৭৮ শিক্ষার্থী সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০১৯, ০৩:৩৩ PM
আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯, ০৩:৩৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে  ভর্তিও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় অভিযোগ রয়েছে।

২০১৭ সালে দেশব্যাপী আলোচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ওই বছরের ১৯ অক্টোবর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও অমর একুশে হল থেকে আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তাঁদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার হল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ভর্তীচ্ছু পরীক্ষার্থী ইশরাক হোসেন রাফিকে। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ও পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে মামলা করেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী সুপার (এএসপি) সুমন কুমার দাশ। এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রে জড়িতদের নাম একে একে বেরিয়ে আসে।

পলাতক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে দাখিল করা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বুধবার(২৬ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য পরোয়ানা জারি করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চারটি অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। এর মধ্যে দুটি অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় ১২৪ জনকে। এক আসামি নাবালক হওয়ায় তার জন্য একই ধারায় শিশু আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রের ১২৫ আসামির মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪৭ জনকে গ্রেফতার রা হয়েছে। তবে তাঁরা সবাই বর্তমানে জামিনে আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, একই ঘটনায় করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের পৃথক মামলায় দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন একই বিচারক।

 

 

Bootstrap Image Preview