Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সোনালী রঙের ১ টাকার কয়েন পানিতে ভাসলেই মিলবে ৫ কোটি টাকা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০১৯, ০৮:১৯ PM
আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯, ০৮:১৯ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


‘সোনালী রঙের ১ টাকার কয়েন পানিতে ভাসলেই মিলবে ৫ কোটি টাকা!’ এ ধরণের একটি সংবাদ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। ঘটনাটি কি আদৌ সত্য কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে চারদিকে বইতে শুরু করেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। কিন্তু এমন খবরের পর আশপাশের দোকান থেকে এই ১ টাকার কয়েন কিনতেও দেখা গেছে অনেককে।

এরকম ঘটনা দেশে এবারই প্রথম নয়। আগেও এই কয়েন বিভ্রান্তিতে পড়েছিল দেশের লাখ লাখ জনসাধারণ। আবার নতুন করে এ ধরণের খবর বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে এ নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হলেও এমন খবরকে গুজব বলেই উড়িয়ে দিচ্ছেন সুশীল সমাজ।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক মাসউদুর রহমান বলেন, এটি একটি গুজব সংবাদ। এমনটি পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দিন হয়নি। এমনকি আগামীতেও হবে না। এক শ্রেণির মানুষ সমাজের সহজ সরল মানুষগুলোকে বোকা বানানোর জন্য এমন খবর প্রচার করছে।

এছাড়াও কলামিস্ট শিমুল বারী বলেন, এই খবর সম্পূর্ণ গুজব। মানুষের সাথে প্রতরণা করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি বলবো এমন খবর থেকে সকলে দূরে থাকবেন। নিজে প্রতারিত হবেন না এবং অন্যকে প্রতারিত হতে দিবেন না।

অপরদিকে, রাজধানীর এক দোকানদার বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে এই ১ টাকার কয়েন নেয়ার জন্য আমার এখানে কয়েক জন লোক ঘুর ঘুর করছে। আমার দোকানে এই কয়েন নেই। কিন্তু এমন খবর আমি কয়েক দিন ধরেই শুনছি।

রাজধানীর শ্যামলীর এক ভিক্ষুক বলেন, আমার কাছে ১ টাকার কয়েন আছে কিনা জানতে চেয়েছিল কয়েকটি লোক। আমার কাছে নেই জানতে পেরে তারা চলে গেছে।

এছাড়াও কয়েকজন রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের থেকেও জানা যায়, কিছু কিছু লোক একাধিকবার তাদের কাছে গিয়ে সোনালী রঙের ১ টাকার কয়েনের খোঁজ করেছে। কিন্তু তাদের কাছে না পেয়ে বার বার হতাশ হয়ে ফিরে গেছে।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর জরীপ ও পরিদর্শন বিভাগের সদস্য মো. মেহতাহ উদ্দীন খান বলেন, এই কয়েন কি কাজে ব্যবহার করা হয় তা সঠিকভাবে জানা নেই। দামী কোন গহনা তৈরিতে ব্যবহার করা হতে পারে। আমার মনে হয় এটা রাজস্ব বোর্ডের কিছু না। এটা যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে আমার থেকে বাংলাদেশ ব্যংকের কোন সদস্য বেশি বলতে পারবে।

এছাড়াও মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, আমাদের কাছে এমন খবর নেই। যদি এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে আসে আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিবো। আমি মনে করি এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। জনগণনের সাথে প্রতারণা করার জন্য এক শ্রেণির মানুষ এমন খবর রটাচ্ছে।

Bootstrap Image Preview