Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

টং দোকানে পুরি-সিঙ্গারা বেচে আয় ৬০ লাখ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০১৯, ০৬:৫২ PM
আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯, ০৬:৫৩ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


ছোট্ট টং দোকানে পুরি-সিঙ্গারা বেচে বছরে ৬০ লাখ টাকা আয় করেন মুকেশ কুমার। এটা জেনেই হয়ত চোখ কপালে উঠেছে সবার। কিন্তু এটাই সত্যি। সিনেমা হলের পাশে ছোট্ট তেল চিটচিটে দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডাল পুরি বিক্রি করেন তিনি। বিক্রিও হয় ভালো।

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা মুকেশের। সেখানেই ‘সীমা টকিজ’ সিনেমাহলের পাশে সরু গলিতে মুকেশের দোকান। রোজ সকালে এসেই কর্মচারীদের সঙ্গে কাজে লেগে পড়েন মুকেশ নিজেও। ময়দা মাখা থেকে তরকারির আলু কোটা, সবই করেন নিজে হাতে। এরপর গরম তেলে কচুরি ভেজে তুলে দেন ক্রেতাদের পাতে। সস্তায় ভাল কচুরির জন্য মুকেশের দোকানের সুনাম আছে এলাকায়।

আয়কর দফতরের বিশেষ অনুসন্ধান শাখার কর্তারা আলিগড়ের ব্যবসায়ীদের আয়কর ও জিএসটির ব্যাপারে খোঁজ-খবর চালাচ্ছিলেন। তখনই তারা জানতে পারেন মুকেশের দোকানের কথা।

খবর আসে, কোনো আয়কর দেন না মুকেশ। এমন কী নেই জিএসটি রেজিস্ট্রেশনও। এরপর বেশ কয়েক দিন মুকেশের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে সারাদিনের বিক্রি-বাটার হিসাব নেওয়া হয়। যা থেকে তারা সারা বছরের বিক্রির একটা সম্ভাব্য ধারণা করেন। দেখা যায়, পুরি বিক্রি করেই বছরে ৬০ লাখ টাকারও বেশি আয় করেন তিনি।

এরপরেই নড়েচড়ে বসেন আয়কর দফতরের কর্তারা। তড়িঘড়ি নোটিশ পাঠানো হয় মুকেশকে। তবে, আয়কর কর্তাদের কাছে নিজের হয়ে সাফাই দিয়েছেন মুকেশ। তিনি জানিয়েছেন, ‘পুরি-সিঙ্গারা বেচে চলে আমার। এসব নিয়মের কথা কেউ কখনও বলেনি আমায়। সহজ-সরল মানুষ আমি। অত জটিল ব্যাপার বুঝি না’।

Bootstrap Image Preview