Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাবির শিক্ষার্থীসহ প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের ৭৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০১৯, ০৬:৩৫ PM
আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯, ০৭:৪০ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।

রাজধানীর শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার (২৩ জুন) ঢাবির প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে ৪৭ জন ইতিমধ্যে জামিনে আছেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বাকি ৭৮ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিরা হলেন

মো. ইব্রাহিম, অলিপ কুমার বিশ্বাস, মো. মোস্তফা কামাল, মো. হাফিজুর রহমান, মো. মাসুদ রহমান তাজুল, মো. রিমন হোসেন, মো. মহিউদ্দিন রানা, মো. আইয়ুব আলী বাঁধন, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইশরাক হোসেন রাফি, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মামুন মিয়া, অসিম বিশ্বাস, মো. অনোয়ার হোসেন, মো. নুরুল ইসলাম, মো. হাসমত আলী সিকদার, হোসনে আরা বেগম, গোলাম মো. বাবুল।

টি এম তানভির হাসনাইন, সুজাউর রহমান সাম্য, রাফসান করিম, মো. আখিনুর রহমান অনিক, নাজমুল হাসান নাঈম, ফারজাদ ছোবহান নাফি, আনিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান ইসামী, বনি ইসরাইল, মো. মারুফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, খান বাহাদুর, কাজী মিনহাজুল ইসলাম, নাহিদ ইফতেখার, রিফাত হোসেন, মো. বায়জিদ, ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির, তানভির আহম্মেদ মল্লিক।

প্রসেনজিত দাস, মো. আজিজুল হাকিম, নাভিদ আনজুম তনয়, সালমান এফ রহমান হৃদয়, সজীব আহাম্মেদ, শিহাব হোসেন খান, এনামুল হক আকাশ, মোশারফ মোসা, মোহাইমেনুল ইসলাম বাঁধন, সাইদুর রহমান, আবদুর রহমান রমিজ, গোলাম রাব্বী খান জেনিথ, উৎপল বিশ্বাস, বেলাল হোসেন বাপ্পী, মো. মশিউর রহমান সমীর, মো. আবু জুনায়েদ সাকিব, মোস্তাফিজ-উর-রহমান মিজান, আবুল কালাম আজাদ, শরমিলা আক্তার আশা, মাসুদ রানা, জেরিন হোসাইন।

শেখ জাহিদ বিন হোসেন ইমন, তাজুল ইসলাম সম্রাট, আবির হাসান হৃদয়, মোর্শেদা আক্তার, সালমান হাবিব আকাশ, আলামিন পৃথক, শাহ মেহেদী হাসান হৃদয়, অনিকা বৃষ্টি, ফিওনা মহিউদ্দিন মৌমি, সিনথিয়া আহম্মেদ, শাবিরুল ইসলাম সনেট, মো. লাভলুর রহমান লাভলু, মো. ইছাহাক আলী ইছা, মো. আবদুল ওয়াহিদ মিশন।

তানজিনা সুলতানা ইভা, ইশরাত জাহান ছন্দা, মো. আশেক মাহমুদ জয়, নাফিসা তাসনিম বিন্তী, প্রণয় পান্ডে, নুরুল্লাহ নয়ন, জিয়াউল ইসলাম, মো. আশরাফুল ইসলাম আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, মো. শাদমান শাহ, সাদিয়া সিগমা, মো. রবিউল ইসলাম রবি, মেহেজাবীন অনন্যা, মো. রাকিবুল হাসান, এম ফাইজার নাঈম সাগর, সাদিয়া সুলতানা এশা, সামিয়া সুলতানা ও ফাতেমা আক্তার তামান্না।

এছাড়াও জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলেন

মো. ইব্রাহিম, অলিপ কুমার বিশ্বাস, মো. মোস্তফা কামাল, মো. হাফিজুর রহমান, মো. মাসুদ রহমান তাজুল, মো. রিমন হোসেন, মো. মহিউদ্দিন রানা, মো. আইয়ুব আলী বাঁধন, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইশরাক হোসেন রাফি, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মামুন মিয়া, অসিম বিশ্বাস, মো. অনোয়ার হোসেন, মো. নুরুল ইসলাম, মো. হাসমত আলী সিকদার, হোসনে আরা বেগম, গোলাম মো. বাবুল, টি এম তানভির হাসনাইন, সুজাউর রহমান সাম্য, রাফসান করিম, মো. আখিনুর রহমান অনিক, নাজমুল হাসান নাঈম, ফারজাদ ছোবহান নাফি, আনিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান ইসামী, বনি ইসরাইল, মো. মারুফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, খান বাহাদুর, কাজী মিনহাজুল ইসলাম, নাহিদ ইফতেখার, রিফাত হোসেন, মো. বায়জিদ, ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির, তানভির আহম্মেদ মল্লিক, প্রসেনজিৎ দাস, মো. আজিজুল হাকিম, নাভিদ আনজুম তনয়, সালমান এফ রহমান হৃদয়, সজীব আহাম্মেদ, শিহাব হোসেন খান, এনামুল হক আকাশ, মোশারফ মোসা, মোহাইমেনুল ইসলাম বাঁধন, সাইদুর রহমান, আব্দুর রহমান রমিজ, গোলাম রাব্বী খান জেনিথ, উৎপল বিশ্বাস, বেলাল হোসেন বাপ্পী, মো. মশিউর রহমান সমীর, মো. আবু জুনায়েদ সাকিব, মোস্তাফিজ-উর-রহমান মিজান, আবুল কালাম আজাদ, শরমিলা আক্তার আশা, মাসুদ রানা, জেরিন হোসাইন, শেখ জাহিদ বিন হোসেন ইমন, তাজুল ইসলাম সম্রাট, আবির হাসান হ্নদয়, মোর্শেদা আক্তার, সালমান হাবিব আকাশ, আলামিন পৃথক, শাহ মেহেদী হাসান হৃদয়, অনিকা বৃষ্টি, ফিওনা মহিউদ্দিন মৌমি, সিনথিয়া আহম্মেদ, শাবিরুল ইসলাম সনেট, মো. লাভলুর রহমান লাভলু, মো. ইছাহাক আলী ইছা, মো. আব্দুল ওয়াহিদ মিশন, তানজিনা সুলতানা ইভা, ইশরাত জাহান ছন্দা, মো. আশেক মাহমুদ জয়, নাফিসা তাসনিম বিন্তী, প্রনয় পান্ডে, নুরুল্লাহ নয়ন, জিয়াউল ইসলাম, মো. আশরাফুল ইসলাম আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, মো. শাদমান শাহ, সাদিয়া সিগমা, মো. রবিউল ইসলাম রবি, মেহেজাবীন অনন্যা, মো. রাকিবুল হাসান, এম ফাইজার নাঈম সাগর, সাদিয়া সুলতানা এশা, সামিয়া সুলতানা ও ফাতেমা আক্তার তামান্না।

অপরদিকে এ মামলায় জামিনে থাকা ব্যক্তিরা হলেন

ইব্রাহিম, মহিউদ্দিন রানা, আবদুল্লাহ আল মামুন, হাফিজুর রহমান, রিমন হোসেন, মোস্তফা কামাল, অলিপ কুমার বিশ্বাস, আইয়ুব আলী বাঁধন, রকিবুল হাসান ইসামী, নাভিদ আন্জুম তনয়, বনি ইসরাইল, মারুফ হোসেন, অনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম, হাসমত আলী সিকদার, হোসনে আরা বেগম, গোলাম মো. বাবুল, সাইফুল ইসলাম, খান বাহাদুর, কাজী মিনহাজুল ইসলাম, সুজাউর রহমান সাম্য, রাফসান করিম, আখিনুর রহমান অনিক, নাজমুল হাসান নাঈম, সালমান এফ রহমান হৃদয়, সজীব আহাম্মেদ, শিহাব হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ মেহেদী হাসান হৃদয়, অসিম বিশ্বাস, সাইদুর রহমান, টি এম তানভীর হাসনাইন, ফারজাদ ছোবহান নাফি, আনিন চৌধুরী, নাহিদ ইফতেখার, এস এম রিফাত হোসেন, বায়াজিদ, ফারদিন আহমেদ সাবির, তানভীর আহমেদ মল্লিক, প্রসেনজিৎ কুমার দাস, আজিজুল হাকিম, এনামুল হক আকাশ, মোশারফ, আব্দুর রহমান, মোহাইমেনুল ইসলাম ও মামুন মিয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে দেশব্যাপী বহুল আলোচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে গণমাধ্যম কর্মীদের দেয়া কিছু তথ্যের সূত্র ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি আবাসিক হলে অভিযান চালায় সিআইডি। এ সময় গ্রেফতার হন মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থী। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেফতার হন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী রাফি। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানায় মামলা হয়।

পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে, চক্রটি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রিন্টিং প্রেস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করতো।

মামলার চার্জশিটের বিষয়ে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, দেড় বছরের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত প্রশ্নফাঁস মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পরপর দুই বছরে ফাঁস করা প্রশ্ন নিয়ে সাভারের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার একটি বাসায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছিলেন তারা।

চক্রের মাস্টারমাইন্ড নাটোর জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান এছামী, প্রেস কর্মচারী খান বাহাদুর, তার আত্মীয় সাইফুল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বনি ও মারুফসহ মোট ২৮ আসামিকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে প্রশ্নফাঁস চক্রটির মূলোৎপাটন করতে সক্ষম হন সিআইডি।

এ বিষয়ে সিআইডি প্রধান আরও জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২৫ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট করা হলেও আরও ৫৫ জন আছে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। গত দেড় বছরে সিআইডির টানা অভিযান এবং একের পর এক আসামিকে গ্রেফতারের ফলে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এসএসসি-এইচএসসিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চক্রের মূলহোতাদের অঢেল অবৈধ অর্থ-সম্পদের খবর পেয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাৎক্ষণিক তদন্তে প্রায় ২০ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে ইতোমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মানিলন্ডারিং মামলাও করেছেন সিআইডি।

Bootstrap Image Preview