Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারী সদস্যের মাথা ফাটালেন পুরুষ ইউপি সদস্য

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০১৯, ০৮:০৭ PM
আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ০৮:২০ PM

bdmorning Image Preview


ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১২নং জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত নারী ইউপি সদস্য মোছাঃ সাহিদা আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি করাতে না পারায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ফাটান সাবেক পুরুষ ইউপি সদস্য মো. রুকন উদ্দিন। 

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে এ ধরনের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১২নং জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নে।

আহত ইউপি সদস্যের নাম মোছাম্মৎ সাহিদা আক্তার (৩৮) তিনি উপজেলার ১২নং জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য। অভিযুক্ত রুকন উদ্দিন একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক পুরুষ সদস্য।

আহত ইউপি সদস্য জানান, তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে স্বামীর সংসারে ভালোই ছিলেন। নির্বাচনের পর রুকন উদ্দিন নামে সাবেক ইউপি সদস্য স্বামীর ঘনিষ্ট হওয়ায় প্রায়ই বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এ অবস্থায় একদিন স্বামী বাড়িতে না থাকায় ঘরে প্রবেশ করে তার সঙ্গে আলাপ করতে থাকেন। এ সময় স্বামী হঠাৎ এসে রুকনকে দেখতে পেয়ে অসময়ে আসার কারণ জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এর কিছু দিন পর মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে স্বামীর কাছে বিভেদ সৃষ্টি করে সংসার ভাঙে দেন রুকন। বিচ্ছেদের পর তার স্বামী আরেকটি বিয়েও করেন। এদিকে প্রতিনিয়তই রুকন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতে থাকায় থানায় পর পর দুইটি জিডি করেন। এ ঘটনার পর থেকে রুকন আরো বেপরোয়া হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি ভিজিডি কার্ড বিতরণের জন্য নান্দাইল সদরের বাসা থেকে জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নে যান।

ওই সময় পরিষদের কিছু দূরে আবালধনি বাজারের কাছে যাওয়ার পর রুকন তার পথ আগলে তার সঙ্গে যেতে বলে। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে টেনেহিঁচড়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এ সময় রুকন একটি চেলা কাঠ নিয়ে তাকে বেদম মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেন। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় অবস্থা গুরুতর দেখে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাথায় নয়টি সেলাই দিয়ে দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুকন ঝগড়া বিবাদ হয়েছে স্বীকার করে বলেন, উনার কাছে (নারী ইউপি সদস্য) আমি দেড় লাখ টাকা পাই। নির্বাচনের সময় ধার নিয়েছিলেন। টাকা চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার শার্ট টেনে ছিড়ে ফেলেন। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে ধাক্কাধাক্কি হয় তার সঙ্গে।

এ ঘটনায় নান্দাইল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Bootstrap Image Preview