এবারের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এবারের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দেশ-বিদেশের পরীক্ষাগারে কয়েক দফা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (২২ জুন) সকালে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে তিনি অভিভাবকদের বিভ্রান্ত না হয়ে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে একযোগে সারা দেশে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। এ কার্যক্রম চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসহ ২০ হাজার অস্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ২ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী টিকা খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ব্রীজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাটসহ ভ্রাম্যমাণ স্থানে ক্যাম্পেইন কর্মসূচি সফল করতে ৩ জন করে স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন। দূর্গম এলাকায় পরবর্তী ৪দিন বিশেষ ব্যবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সারাদেশে ভিটমিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে লাখ ২০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পেইন মনিটরিং করতে প্রত্যেকটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।

সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটার মধ্যে ভরাপেটে শিশুদের নিকটস্থ টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।