Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইন্দোনেশিয়ায় দিয়াশলাই কারখানায় আগুন, পুড়ে অঙ্গার শিশুসহ ৩০

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জুন ২০১৯, ০৫:১০ PM
আপডেট: ২১ জুন ২০১৯, ০৫:১০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ইন্দোনেশিয়ায় এক দিয়াশলাই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, অগ্নিকাণ্ড পরবর্তীতে মেঝেতে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া একটি লাশের ওপর আরেকটি স্তূপ করে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে দেশটির উত্তর সুমাত্রা লংকাট রিজেন্সির বিনজাইয়ে এ ঘটনা ঘটে।

টিভি ফুটেজে উত্তর সুমাত্রার বিনজাই শহরের বাড়িটি থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।

উত্তর সুমাত্রার দুর্যোগ সংস্থার প্রধান রিয়াদিল লুবিস বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। এতক্ষণে আগুন নিভে গেছে। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। আমরা সেখানে অগ্নি নির্বাপণ দল পাঠিয়েছি।

অগ্নিকাণ্ডের সময় মসজিদে জুমা পড়তে যাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা বুডি জুলকিফলি। তিনি বলেন, যখন আমি জুমা পড়তে যাচ্ছিলাম, তখনই এই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। কিন্তু কী বিস্ফোরিত হয়েছে, তা জানতে পারিনি।

বিনজাই পুলিশ প্রধান নুগরোহো থ্রি নুয়ান্তো বলেন, একটি গ্যাস ক্যানিস্টার বিস্ফোরিত হয়ে সম্ভবত এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, আমরা এখনো হতাহতদের শনাক্ত করে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে। আগুন থেকে তিন ব্যক্তি পালিয়ে বেঁচেছেন। কিন্তু সেখানে শিশুরা কেন ছিল, তা জানা সম্ভব হয়নি।

লংকাট দুর্যোগ নিরসন সংস্থা (বিপিবিডি লংকাট) প্রধান ইরওয়ান সৈয়রি জানান, নিহতদের মধ্যে তিনটি শিশুও রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো জীবিতের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আগুনে নিহতদের শরীরের বেশির ভাগই পুড়ে গেছে। '

বুড়ি জুলকিফ্লি নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা ‘জাকার্তা পোস্ট’কে বলেন, 'শুক্রবারের জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য কাছাকাছি একটি মসজিদে যাওয়ার সময় কারখানা থেকে আসা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাই।'

বিপিবিডি সংস্থা মৃতদেহগুলো অপসারণের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে। সংস্থাটি আগুনের কারণ তদন্ত করবে এবং কারখানার মালিকদের চিহ্নিত করবে। দুটি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে যাতে প্রয়োজনের সময় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়।

স্থানীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান ইরওয়ান শেয়ারি বলেন, সম্ভবত শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। নিহতদের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের শনাক্তকরণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

এর আগে জাকার্তার বাইরে ২০১৭ সালে একটি আতশবাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত ও কয়েক ডজন ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন।

Bootstrap Image Preview