Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে বাথরুমে ধর্ষণরত অবস্থায় প্রধান শিক্ষককে দেখে ফেলে আরেক ছাত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জুন ২০১৯, ০৩:২৩ PM
আপডেট: ২১ জুন ২০১৯, ০৩:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


নেত্রকোনার বারহাট্রা উপজেলার হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইন উদ্দিন কর্তৃক অষ্টম শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তার ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতা ছাত্রী ও তার পরিবার।

মামলা ও নির্যাতিত পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইন উদ্দিন দীর্ঘদিনধরে নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভনসহ বেশি নম্বর প্রদান, পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণের আশ্বাস, ভয়ভীতি প্রদান জিম্মি করে কৌশলে ছাত্রীদের যৌন হয়রানী, ধর্ষণসহ নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্কুলের মেধাবী সুন্দরী ছাত্রীদের নানান প্রলোভন দেখিয়ে নিজ কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন। কম্পিউটারে কাজ করানোর অজুহাতে ও দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে শরীর ম্যাসেজসহ একাধিক শিক্ষার্থীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে দিনের পর দিন অপকর্ম চালিয়ে গেছেন।

লোকলজ্জার ভয়ে ছাত্রীরা লজ্জাজনক বিষয়টি চেপে গেলেও একাধিক ছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি স্কুলের বাথরুমে এক ছাত্রীকে ধর্ষণরত অবস্থায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী দেখে ফেলায় ওই ছাত্রীকেও বাথরুমে নিয়ে নির্যাতন চালান ওই প্রধান শিক্ষক। ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলা হয় এই ঘটনা জানাজানি হলে তাকে হত্যা করা হবে। অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার অভিভাবককে জানানোর পর গত ৩ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ পেশ করা হয়।

নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের থানায় মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয়ার পর নির্যাতিত শিক্ষার্থী নিজেই বাদি হয়ে বারহাট্রা থানায় লিখিত অভিযোগ পেশ করার পর অজ্ঞাত কারনে ওসি বদরুল আলম খান মামলা রেকর্ড না করে ফাইল চাপা দিয়ে রাখেন। শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিনের নির্দেশে গত ১০ জুন ওসি মামলা রেকর্ড করতে বাধ্য হন। কিন্তু অভিযুক্ত আসামি প্রধান শিক্ষক আইন উদ্দিনকে গ্রেফতার না করে তালবাহানা করতে থাকেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, একটি প্রভাবশালী মহল ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্য প্রধান শিক্ষককে নানানভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে ঘটনা তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এক তদন্তটিম গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ১৬ জুন থেকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্যাতিতা ছাত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানায়, ওই প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের একাকী তার কক্ষে ডেকে নিয়ে কাছে বসিয়ে আদর করার অজুহাতে শরীরে হাত বুলিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে টর্চার করতেন। বাথরুমে তাকে অপর এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকজনক অবস্থায় দেখে ফেলায় আমাকে তিনি নির্যাতন করেন এই বলে সে কান্নায় ভেঙে পড়ে।

বুধবার বিকেলে বারহাট্রা থানার ওসি বদরুল আলম খান এ বিষয়ে বলেন, হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইন উদ্দিন অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নির্যাতনের চেষ্টা চালান। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, আসামি হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্ত্তীকালীন জামিন নেয়ার কারণে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।

Bootstrap Image Preview