ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্থানীয় চক্রেশ জৈন নামে এক সাংবাদিককে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৯ জুন) সকালের দিকে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। কৃষি অধিদফতরের এক কর্মকর্তার বাড়ির সামনে থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাংবাদিক চক্রেশ জৈনকে উদ্ধার করে তার পরিবারের স্বজনেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তার নাম- আমান চৌধুরী। এ ঘটনায় তারও শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন যাবৎ চক্রেশ ও ওই সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে একটি মামলার জের ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। কিছুদিন পর মামলার শুনানির দিন ধার্য করা ছিল। ফলে শুনানির আগে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বুধবার সকালে চক্রেশ কৃষি দফতরের ওই কর্মকর্তার বাড়িতে যান।
এছাড়াও নিহতের ভাই রাজকুমার জৈন অভিযোগ করে জানান, চক্রেশ যাতে আদালতে সত্য বলতে না পারেন তাই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। চক্রেশ যে ওই কর্মকর্তার বাড়ি গিয়েছিলেন সেটা পরিবারের সব সদস্যই জানতেন। দীর্ঘক্ষণ তিনি না ফেরায় আমান চৌধুরীর বাড়ি গিয়ে চক্রেশকে প্রায় সম্পূর্ণ দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।
তবে আমান চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে চক্রেশ তার বাড়িতে আসেন। তার সাথে কথাবার্তা চলার এক পর্যায়ে হঠাৎ চক্রেশ নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
সাগর থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলছেন, ২০১৮ সালে আমান চৌধুরী সাংবাদিক চক্রেশ জৈনের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন (প্রতিরোধ) আইনে একটি মামলা করেছিলেন। এই মামলা কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বিবাদ চলছিলো।
এছাড়া নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমান চৌধুরীসহ আরও একজনকে আসামি করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।