Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যুবলীগ নেতা মনিরুল হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, নারীসহ ২ জনের যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০১৯, ০৬:১০ PM
আপডেট: ২০ জুন ২০১৯, ০৬:১০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ জেলার বহুল আলোচিত যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করে রায় প্রদাণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত আলী এ রায় দেন। এ হত্যা মামলায় ১৫ জন আসামির মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম শিবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

প্রদানকৃত রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদিঘী গ্রামের আখেরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, চতুরপুর গ্রামের তোহরুল ইসলাম ওরফে টুটুল, রসিকনগর গ্রামের আব্দুল মালেক, সিরাজুল ইসলাম ওরফে সেন্টু, সাহাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, চরভবানীপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ, পারচৌকা গ্রামের মোহাম্মদ মাসুদ ও ছত্রাজিতপুরের আব্দুস সালাম।

এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুরের মাসুদ ওরফে লালচান ও রাজশাহীর বেলপুকুর গ্রামের পারুল বেগম।

এ সময় সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককেই ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

অপরদিকে, এ ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. মাসুদ ও আব্দুস সালাম এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পারুল বেগম পলাতক রয়েছেন। এছাড়াও আসামিদের মধ্যে অভিযোগ প্রামাণিত না হওয়ায় বালিয়াদিঘী গ্রামের সেলিম রেজা, বেনাউল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম ও ওবাইদুর রহমানকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় তারাসহ মামলায় অভিযুক্ত আটজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামকে তার শিয়ালমারা গ্রামের বাড়ি থেকে ওই সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি আখেরুল ইসলামসহ অন্যরা ডেকে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পরবর্তীতে তার স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়াও মামলা করার সময় এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছিল, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা ভাগাভাগি ও ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৫ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান সিদ্দিকী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

Bootstrap Image Preview