Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গজল ডোবা ব্যারাজের গেট খুলে দিয়েছে ভারত, লালমনিরহাটে বন্যা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯, ০৯:৩৩ PM
আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯, ০৯:৫১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি বেশি হওয়াতে গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দিয়েছে ভারত। ফলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়ে তিস্তার তীরবর্তী প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ১০ টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার। তিস্তা ব্যারেজের উজানে পানির বিপদসীমা নির্ধারণ করা আছে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।পানি কমাতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জানা গেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি বেশি হওয়াতে ভারতের গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়া হয়। এতে করে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে তিস্তার পানিতে পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, পটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এলাকার প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে ওপার থেকে ঘোলা পানি আসছে। তিস্তায় পানি প্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এজন্য তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

তিস্তাপাড়ের ডালিয়া পয়েন্টের বাসিন্দা সইদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন আগে পানির অভাবে তিস্তা বালুচরে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে এখন আমরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছি।

তিনি আরও জানান, সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের জল কপাটগুলো খুলে দেওয়া হয়। এতে ভাটিতে লালমনিরহাট অংশে তিস্তা নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেছে। প্রায় পানিশূন্য তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, ইতোমধ্যে পানিবন্দী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করার জন্য ইউপি সদস্যদের বলা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, তিস্তায় পানি প্রবাহ বাড়ছেই। তিস্তা ব্যারেজ রক্ষায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

 

 

Bootstrap Image Preview