Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লাশের গাড়ির মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা, রহস্য উদঘাটন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৯, ০৮:১০ PM
আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯, ০৮:১০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‘লাশবাহী গাড়ি আটক করে হাইওয়ে পুলিশ চাঁদা দাবি করছে’ এমন একটি খবর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে দেখা দেয় পুলিশের প্রতি তীব্র ক্ষোভ। এরই প্রেক্ষিতে পরিবহন শ্রমিকেরা মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবশেষে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল থানার মতিগঞ্জ গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে আল আমিন (১৯) বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) গোয়ালাবাজার এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। পরে নিহত আল আমিনের আত্মিয়-স্বজন শুক্রবার (১৪ জুন) রাত আড়াইটার দিকে তার মৃতদেহটি সেখান থেকে শ্রীমঙ্গলের মতিগঞ্জে নিয়ে আসেন।

পরবর্তীতে, শনিবার (১৫ জুন) সকাল ১১টায় জানাযা শেষে বাড়ির পাশে নিহতের লাশ দাফন করা হয়। দাফনের পর মৃতদেহ বহনের জন্য ব্যবহৃত খালি কফিন বাক্সটি শ্রীমঙ্গল থানা জামে মসজিদে ফেরত দেওয়ার জন্য একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ন ১৫- ৭৩৮১) ভাড়া করা হয়। পরবর্তীতে কফিনবাহী পিকআপটি শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার সময় মতিগঞ্জের বটের তলে আটকা পড়লে হাইওয়ে পুলিশ লাশবাহী পিকআপটির কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় ‘গাড়ির কাগজপত্র দেখার নাম করে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছে পুলিশ’ শিরোনামে একটি গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মূর্হুতের মধ্যে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে পুলিশের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং মহাসড়কের যানবাহন চলাচল সম্পুর্ন বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।

এ সময় পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করলে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালেক ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সাথে কথা বলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল সাতগাঁও হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মন্ডল বলেন, পুলিশ এতটা অ-মানুষ নয় যে লাশের গাড়ি থেকে টাকা দাবি করবে। সেদিন কোন লাশের গাড়ির সাথে হাইওয়ে পুলিশের কোন ধরনের দেখা সাক্ষাতও হয়নি।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে সাতগাঁও হাইওয়ে পুলিশের টহল ডিউটি চলাকালে শনিবার সকালে শ্রীমঙ্গল থেকে হবিগঞ্জগামী একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ন ১৫- ৭৩৮১) গাড়ির পেছনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মালামালের উপরে লোক বহন করছিলো। তখন বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পিকআপের উপরে লোক বহন না করার কথা বললে চালক দুদু মিয়া স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে চলে যেতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ বাধা দেন। এ সময় গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হয়। এক পর্যায়ে দুদু মিয়া বাধ্য হয়ে পিকআপের পেছনে থাকা যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে মালামাল নিয়ে হবিগঞ্জের দিকে চলে যায়।

Bootstrap Image Preview