Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্কুল শিক্ষার্থীর পর্নো ভিডিও ভাইরালের পর পুলিশের উদ্যোগে বিয়ে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯, ০৫:১৩ PM
আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯, ০৫:১৩ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


একটি কারিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শারীরিকভাবে মিলিত হয় দুই শিক্ষার্থী। সেই মুহূর্তের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার মতো রক্ষণশীল দেশে।

এই বিষয়টি নজরে আসে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের। তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন। জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীদের বয়স একেবারেই কম। বিবাহিত বন্ধনে আবদ্ধ না হয়েই শ্রেণিকক্ষে তারা মিলিত হয়েছে।

অবশেষে পুলিশের উদ্যোগে ওই দুই প্রেমিক-পেমিকার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ওই শিক্ষার্থীরা এখনো পড়তে পারবে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর তাদেরকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

সরকারি কর্মকর্তারা সবাইকে অনুরোধ করেছেন, দক্ষিণ সুলাওয়াসির বালুকুম্বা এলাকার একটি স্কুলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি যেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আর শেয়ার না করা হয়। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া মেয়েটি লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে বলে যে গুজব ছড়িয়েছে, সেটাও সঠিক নয়। ইতিবাচক খবর হলো মেয়েটি এখনো বেঁচে আছে।

ওই দু'জনের ভবিষ্যত যেন শেষ না হয়ে যায়, সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত তাদের নাম-পরিচয়ও গোপন রাখা হয়েছে।

বাুলকুম্বা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টমি সাতরিয়া উলিয়ান্তো বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলে ওই ভিডিওটি ধারণ করা। সেটা যেন আর না ছড়ায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের দু'জনের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একপর্যায়ে তাদের বিয়ে দেয়ারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হবে।

ইন্দোনেশিয়ার শিশু অধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ওই শিশুরা যেন তাদের মৌলিক অধিকারগুলো ঠিকমতো লাভ করে, সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে তাদের শিক্ষাজীবন যেন শেষ না হয়ে যায়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার। যদিও বিয়ে দেয়ার বিষয়টির নিন্দা করেছেন তারা।

শিশু অধিকারকর্মী সুশান্ত বলেন, তারা যদি এখনো স্কুলে পড়ে থাকে, তবে তাদের বিয়ে দেওয়াটা অন্যায় হয়েছে। আইন অনুসারে এখনো তাদের বিয়ের বয়স হয়নি। তারা তো উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীর বয়সী। সে হিসেবে তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের  মধ্যে হওয়ার কথা।

জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলের ১৯ এবং মেয়ের ১৬ বছর হওয়া বাধ্যতামূলক। তবে ওই ছেলের বয়স বর্তমানে ১৮ বছর এবং মেয়ের ১৫ বছর।

Bootstrap Image Preview