Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বদলে যাবে দক্ষিণের চেহারা, ৪৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯, ০৩:২০ PM
আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯, ০৩:২০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৮ হাজার ৮৮১ কোটি ৯৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন করে ১৫টি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে। দাবী করা হচ্ছে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ডিএসসিসি এলাকার চেহারা বদলে যাবে।

সূত্র জানায়, এই ১৫ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিএসসিসিতে নতুন যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিয়কায়ন ঘটবে। প্রকল্পগুলোর কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে।

সূত্রমতে, ৪৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে যান-যন্ত্রপাতি, ট্রাফিক সাইন-মার্কিং ইত্যাদি কেনা হবে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনর্গঠিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য মেশিনারিজ সংগ্রহে ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি একনেক সভায় তোলার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ৩৩৪ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহীত প্রকল্পের বিষয়ে এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রি-একনেক (আইপিইসি) সভা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং আধুনিক পার্কিং স্থাপন করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফিজিবিলিটি স্টাডি করার পর পুনর্গঠিত ডিপিপি স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে। এ ৩টি প্রকল্পের পরিচালক করা হয়েছে ডিএসসিসির যান্ত্রিক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমানকে।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় ঋণ চুক্তির মাধ্যমে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা হবে।’

সূত্র জানায়, মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভারের জন্য এলইডি ও সিগন্যাল বাতি স্থাপন এবং যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ ফ্লাইওভারের নিচে সড়কদ্বীপের সৌন্দর্যবর্ধনে ৪৮ কোটি ৯৬ লাখ ৬ হাজার টাকার প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগে আইপিইসি সভার অপেক্ষায় রয়েছে।

ডিএসসিসিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সমন্বিত সড়ক ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ২৭ হাজার ৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প দুটির পরিচালক করা হয়েছে ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) কাজী মো. বোরহান উদ্দিনকে।

এ ছাড়া নতুন এ ১৮টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪৯ কোটি ৭০ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এসব ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৮৮৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হচ্ছে আরেক প্রকল্প।

সূত্রমতে, ৫৩০ কোটি ১৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সংস্থার জরাজীর্ণ ও পুরনো কমিউনিটি সেন্টারগুলো নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগে আইপিইসি সভার অপেক্ষায় রয়েছে।

এছাড়া ১ হাজার ৭০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর (রাপা প্লাজা) থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত মিরপুর রোডের এ অংশটিকে আদর্শ সড়কে রূপান্তর করা হবে। প্রকল্পটি এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যয় হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।

ডিএসসিসি সূত্র জানায়, করপোরেশন এলাকার প্রধান সড়কের সাধারণ ইউটিলিটি টানেল নির্মাণে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পটির পরিচালক করা হয়েছে সংস্থার পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমদকে।

ডিএসসিসির মহানগর মহিলা কলেজের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য ৮৫ কোটি টাকার প্রকল্পের পরিচালক করা হয়েছে ডিএসসিসির অঞ্চল-৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলামকে।

সূত্রমতে, চকবাজার শিশু হাসপাতালের পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর পরিচালক করা হয়েছে ডিএসসিসির অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফজাল হোসেনকে।

ডিএসসিসির আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার পুকুর সংস্কার ও উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। পোস্তগোলা শ্মশানঘাট উন্নয়নে হাতে নেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প। প্রকল্প দুটির পরিচালক করা হয়েছে অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলকে।

ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নতুন মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশ অনুযায়ী মধ্যমেয়াদি হিসাবে

২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।’ প্রকল্পগুলো অনুমোদন হয়ে কাজ শেষ হলে ঢাকা দক্ষিণের চেহারা বদলে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। মেয়র সাঈদ খোকন প্রতিনিয়ত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview