Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সোনাগাজীর পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে ওসি মোয়াজ্জেমকে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০১৯, ১০:৪৪ PM
আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯, ১০:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ফেনীর সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। যেহেতু ওসি মোয়াজ্জেমের নামে সোনাগাজী থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে, তাই ওই থানার পুলিশের হাতেই তাকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মারুফ হোসেন সরদার।

রবিবার (১৬ জুন) বিকেলে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।

মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেমকে শাহবাগের কদম ফোয়ারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোনাগাজী থানায় তার নামে ওয়ারেন্ট আছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের প্রতিনিধি আসবে। তারা আসলে তাদের কাছেই ওসি মোয়াজ্জেমকে হস্তান্তর করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, তারা (সোনাগাজী থানা পুলিশ) রওনা দিয়েছে, আসলেই হস্তান্তর করা হবে। যতক্ষণ হস্তান্তর করা হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত শাহবাগ থানাতেই থাকবেন ওসি মোয়াজ্জেম।

তাকে কোন আদালতে নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ওয়ারেন্টটা তাদের (সোনাগাজী থানা) কাছে, কাজেই তারাই সিদ্ধান্ত নেবে যে কোন আদালতে হাজির করা হবে।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর আজ রবিবার রাজধানীর শাহবাগের হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় ওসি মোয়াজ্জেম।

এর আগে, পুলিশ সদরদপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি সোহেল রানা তার গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সোহেল রানা জানান, মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল এইচএসসি সমমানের আলিম আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা নুসরাত জাহান রাফিকে ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত ১০ এপ্রিল নুসরাত মারা যান।

এর কিছুদিন আগে নুসরাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সে সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।এরপর থেকে পলাতক ছিলেন মোয়াজ্জেম। তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না পুলিশের, এমনকি তিনি আত্মসমর্পণও করেননি। 

পরে গত ৮ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি রংপুর রেঞ্জ অফিসে যোগ দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তিনি সেখান থেকে নিরুদ্দেশ হন।

Bootstrap Image Preview