Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তান্ত্রিকের সঙ্গে মিলনে রাজি না হওয়ায় সন্তানের সামনেই মাকে ডুবিয়ে মারলেন স্বামী!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০১৯, ০৯:১৮ PM
আপডেট: ১৫ জুন ২০১৯, ০৯:২৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


তান্ত্রিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়লে তাদের সাংসারিক অভাব দূর হবে। তারা ধনী হয়ে যাবেন। তান্ত্রিকের এ কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে স্ত্রী রজনীকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় মানপাল সিং। এতে রজনী অস্বীকৃতি জানান। ফলে বুধবার (১২ জুন) তাকে গঙ্গা নদীতে নিয়ে তাতে ডুবিয়ে দেয় মানপাল। নদীতেই পড়ে থাকে তার মৃতদেহ।

এ অভিযোগে শুক্রবার (১৪ জুন) ভারতের আগ্রায় ওই তান্ত্রিক ও মানপালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পুলিশ বলেছে, তান্ত্রিক সন্তদাসের বাড়ি বিহারে। তিনি মানপাল সিংকে বুদ্ধি দেন, রজনী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়লে তাদের সাংসারিক অভাব দূর হবে। তারা ধনী হয়ে যাবেন। তান্ত্রিকের এ কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে স্ত্রী রজনীকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় মানপাল সিং। এতে রজনী অস্বীকৃতি জানান।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ছেলের চোখের সামনে ওই নারীকে নদীর পানিতে ডুবানো হয়। সে সময় ছেলেটি মাকে বাঁচাতে বাবার কাছে কাতর মিনতি করে। কিন্তু তার বাবা এতে কর্ণপাত করেনি। 

মানপাল সে সময় তার ছেলেকে এই বলে হুমকি দেন, সে যদি তার মাকে রক্ষা করার চেষ্টা চালায় তবে তারও একই ভাগ্য বরণ করতে হবে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তা উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।

পুলিশ বলেছে, নিহতের ভাই রাজেশ সিং তার দুলাভাই মানপালের বিরুদ্ধে মামলা করেন বৃহস্পতিবার। এতে তিনি দাবি করেন তার বোন রজনীকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযান চালায়। এক ডজন ডুবুরি নামানো হয় গঙ্গায়। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় রজনীর মৃতদেহ।

রাজেশ সিং বলেছেন, গঙ্গা দুশেরা উপলক্ষে পবিত্র স্নান করার আগে বুধবার তিনি বোনের বাড়ি যান। এ সময় রজনী তাকে ওই তান্ত্রিকের কথা বলেন এবং বলেন, তান্ত্রিক তাদেরকে ধনী বানিয়ে দিতে চেয়েছেন, যদি তিনি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ কথা শুনে দুলাভাইকে ওই তান্ত্রিক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি । এরপর ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রাজেশ।

নিহতের পরিবারের মতে, রজনী ও মানপালের বিয়ে হয়েছে ৯ বছর আগে। রজনীর স্বামী নিজের কৃষিখামারে কাজ করতেন। কিন্তু ওই তান্ত্রিকের সান্নিধ্যে যাওয়ার পর তিনি মাদক সেবন শুরু করেন। পুলিশ বলেছে, অভিযুক্ত মানপাল একজন ভাল সাঁতারু। তিনি রজনীর মৃতদেহ নদীর মধ্যস্থানে রেখে চলে যান, যাতে কেউ তাকে খুঁজে না পায়।

এসপি আকাশ কুলহারি বলেছেন, ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই তান্ত্রিক একজন মাদকাসক্ত। এর আগে মথুরা পুলিশ ৭০০ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করেছিল।

অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলেও জানা গেছে।

Bootstrap Image Preview