Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফরিদপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে ইউনিয়ন পরিষদের দাফতরিক কার্যক্রম!

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৯, ১০:০০ PM
আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯, ১০:২১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় দাফতরিক কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে। ফলে যেকোন মুহূর্তে পুরো ভবনটি ধ্বসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তাসহ এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে ভবনের মাঝখানের ছাদের ইট সুরকি প্লাষ্টার খসে পড়ে গেছে। ভবনের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে ভেঙ্গে গেছে। ভিমের উপরের প্লাষ্টার খসে পড়ছে, দরজা-জানালাগুলোর অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টির সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। ফলে অফিসের ভিতরে বৃষ্টির সময় পানি ঢুকে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা থাকে। ঝড়-বৃষ্টির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন জনপ্রতিনিধিরা।

তাছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি যে কোনো মুহূর্তে তাদের মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকায় কোনো রকমে কাজকর্ম সেরেই তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে আসতে হয় তাদের।

ফলে জরুরি ভিত্তিতে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদটি নির্মাণের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে খিতিশ সাহা বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি দীর্ঘদিনের পরাতন হওয়া সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছিনা আমরা। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে ডিজিটাল সেন্টার নেই ইউনিয়ন পরিষদে। আর সে কারনে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সেবাও পাচ্ছিনা। অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদে নতুন ভবন হলেও আমাদের ইউনিয়নে কোন ভবন হয়নি। সরকারের কাছে এখন দাবি একটাই- দ্রুত আমাদের ইউনিয়নে নতুন ভবন নির্মাণ করার। এখানে নতুন ভবন হলে ইউনিয়নের জনগণ সঠিক সেবা পাবে।’

ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সচিব মন্টু সরকার বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন পরিষদটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। সংস্কারের অভাবে ভবনটি নষ্ট হয়েগেছে। আমরা সঠিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। আমরা কোন মিটিং করতে পারি না। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম করতে পারি না। ডিজিটাল সেন্টার চালাতে পারিনা। পরিষদের কোন মিটিংও করতে পারছিনা। দীর্ঘদিনের পুরাতন ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

ঈশাণ গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম মজনু বলেন, ‘১৯৫৩ সালে ইউপি ভবন ও ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হল রুম। ভবনের ভিতরে জরাজীর্ণ অবস্থা। যেকোন সময় এটি ধ্বসে পড়তে পারে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। ছাদের রড বের হয়ে গেছে। প্লাষ্টার খসে খসে পড়ছে। ফ্যান চালাতে পারি না। ফ্যান চালালে ছাদ কাপে। ভবনটির সমস্যার কারণে আমরা জনগণকে সঠিক সেবা দিতে পারছিনা। ডিজিটাল (ই-সেন্টারের) সেবা দিতে পারছি না। দ্রুত একটি ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।’

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন। ১৯৫৩ সালে ৫৬ শতাংশ জমির এক সাইডে ৮০ ফিট বাই ৩০ ফিট দুই কক্ষ বিশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ করেন জমিদার ঈশান বাবু।

পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে তদানিন্তন চেয়ারম্যান শফিউদ্দিন চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে ৩ কক্ষ বিশিষ্ঠ একটি হল রুম নির্মাণ করেন। ভবন দু’টি দীর্ঘদিনের পুরাতন হওয়ায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে অনেক আগেই।

Bootstrap Image Preview