বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রের সব নাগরিককে পেনশন দেয়া হয়। এই পদ্ধতিকে ‘ইউনিভার্সাল পেনশন’ পদ্ধতি বলা হয়েছে। নাগরিকের দেয়া ভ্যাট, ট্যাক্স বা অন্যান্য অর্থ থেকে এ সুবিধা নিশ্চিত করে সরকার।
এবার বাংলাদেশেও এই পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে শিগগিরই গঠন করা হবে ‘ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি’।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ পরিকল্পনার কথা জানান।
এর আগেও ইউনিভার্সাল পেনশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে তা এখনও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, ইউনিভার্সাল পেনশন পদ্ধতি চালু করতে আরও অন্তত ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে। এটি যেন দ্রুত করা যায় এজন্য ‘ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি’ শিগগিরই গঠন করা হবে।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ নেতা অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন।
আগের ধারাবাহিকতায় এবারও বৃদ্ধি পেয়েছে বাজেটের সামগ্রিক আকার ও খাতওয়ারি আয়-ব্যায়ের পরিমাণ। ২২ হাজার ৩২ কোটি টাকা কমিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার করা হয় ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা।
বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তা বাবদ ঋণ নেওয়া হবে ৬০ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।