২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে থেকে কম খরচে টাকা পাঠাতে ও বৈধ পথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ১০০ টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন ২ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার অসুস্থতার কারণে পরে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এটি দেশের ৪৮তম ও বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট।
রেমিট্যান্স প্রেরণে বর্ধিত ব্যয় লাঘব এবং বৈধপথে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রণোদনা হিসেবে চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে বলে বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত রেমিটেন্সে এ ধরনের প্রণাদনা দেওয়া হবে। এ জন্য নতুন বাজেটে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের বীমা সুবিধার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন
উল্লেখ্য, বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। জিডিপিতে তাদের পাঠানো অর্থের অবদান ১২ শতাংশের মত।