Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দাম কমছে অক্সিজেন ও ক্যান্সার ওষুধের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০১৯, ০৬:২৬ PM
আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯, ০৬:২৬ PM

bdmorning Image Preview


দেশবাসীকে চিকিৎসাসুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির বেশকিছু উপকরণসহ কয়েকটি কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

একইসঙ্গে জীবন রক্ষাকারী মেডিকেল গ্যাস প্রস্তুতকারী কাঁচামাল তরল অক্সিজেন, নাইট্রোজেনসহ বেশকিছু কাঁচামাল ওপর আরোপিত রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ ঘোষণা দেন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে প্রস্তুত ওষুধের মান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এবং এটি সম্ভাবনাময় রফতানি খাত। ওষুধ শিল্পের ব্যবহৃত কাঁচামালে শুল্ক রেয়াত সুবিধায় আমদানির সুযোগ রয়েছে। ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির বেশকিছু উপকরণসহ ওষুধ শিল্পের ব্যবহৃত আরও কয়েকটি প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ক্ষেত্রে এ রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করছি।

মুস্তফা কামাল জানান, জীবন রক্ষাকারী মেডিকেল গ্যাস প্রস্তুতকারী শিল্পের কাঁচামাল লিকুয়িড অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, অরগান ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের ওপর বর্তমানে ২০ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপিত রয়েছে। স্বল্পমূল্যে অসুস্থ গরিবরোগীদের কাছে মেডিকেল গ্যাস সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এসব পণ্যের ওপর আরোপিত রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন হয়। এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। বরাবরের মতো বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

শুরুতে দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিকেল ৪টার পর অসুস্থ অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন সম্ভবপর না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাকি অংশ সংসদে উপস্থাপন করেন।

বেলা ৪টা ৪১ মিনিটে ‘প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হলো’ মর্মে ঘোষণা দেন স্পিকার।

প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।

এর আগে মন্ত্রিসভা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়। বাজেট ঘোষণার আগে দুপুর ১টার একটু পর জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর মূল বাজেটের আকার দাঁড়ায় চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় করতে না পারা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।

Bootstrap Image Preview