বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বয়সসীমা না করে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে ছাত্রদলের আন্দোলন সামলানো ও নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি উভয় সংকটে পড়েছে।
বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন গয়েশ্বর রায়।
তিনি বলেন, ছাত্ররা দীর্ঘদিন জেল খাটলো, মামলা এবং পুলিশের হয়রানির স্বীকার হলো। তাদের অবদানের বিনিময়ে কী পাবে? কী মূল্যায়ন হবে? দোষটা কার? দোষ কারও নয়। কারণ, গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে কোনও রাজনৈতিক দল তার কাজটি সঠিকভাবে করতে পারে না।
গয়েশ্বর রায় বলেন, ছাত্রদল বিরাট একটি সংগঠন। এই সংগঠনের আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক ঐতিহ্য আছে। তবে অতীতের মত এখন ওদের আন্দোলনের ধারাবাহিক ঐতিহ্যটা নাই।
কিন্তু তারপরও তো তারা প্রচেষ্টা করে। ছাত্ররা কোথায় থাকবে? কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ তারা ক্যাম্পাসে যেতে পারে না! তাই তাদের কর্মকাণ্ডটা ক্যাম্পাস ভিত্তিক কিংবা ছাত্রদের নিয়ে কর্মকাণ্ডটা তারা করতে পারছে না।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ছাত্রদলের নিয়মিত কাউন্সিল হওয়া দরকার। কিন্তু কাউন্সিল হওয়ার মতো হয়তো পরিস্থিতি নাই। যার কারণে আমাদের কাউন্সিলগুলো হতে বিলম্ব হয়। একারণে অনেকের ছাত্রত্ব থাকে না। আর কাউন্সিল নিয়মিত হলে ছাত্ররা তাদের অবদান অনুযায়ী পুরস্কৃত হয়।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার যেটা হয়েছে, সেটাকে আমি অস্বাভাবিক মনে করি না। কারণ বড় বড় রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনে প্রতিযোগিতাগুলো অনেক সময় প্রতিহিংসারও রূপ নেয়। সুতরাং এটাকে বড় করে দেখার কিছুই নাই। তবে এক্ষেত্রে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে- সেটা হলো, ওদেরকে বুঝানো আর তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করে তাদের মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়, তা আমরা করবো। তাই আমি সবাইকে বলবো, এটাকে স্বাভাবিকভাবে নেন।