বিএনপিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিলেন নাসিম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দলের স্বার্থে বিএনপির উচিত সরকারবিরোধী আন্দোলন বাদ দিয়ে খাদ্যে ভেজাল, মাদক ও নারী-শিশু নির্যাতনের মতো বিষয়ে আন্দোলন করা দরকার। 

সোমবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ভেজাল ও মাদকবিরোধী আন্দোলন ও সোয়াব’ আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্য ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়া বিএনপির সিদ্ধানহীনতাই তাদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতকারক ও এর বিক্রেতাদের মৃত্যুদণ্ড ও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো এই অপরাধের কারণে কাউকে জরিমানা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। আমি আইনমন্ত্রী ও বিচারকদের কাছে অনুরোধ করছি এমন অপরাধীদের প্রয়োজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।’

এছাড়া গণতন্ত্রের বাম হাত হিসেবে সরকারের পাশাপাশি বিএনপিকে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘৩০ জানুয়ারির পর এরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্ন বক্তব্য, সভা সমাবেশ করে আসছে। পরবর্তীতে অনেক জল ঘোলা করার পর এখন আবার উপনির্বাচন করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। বিএনপি স্বৈরশাসক এরশাদের মতো আচরণ করছে। বিএনপির এখন উচিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা, এতে জনগণও তাদের স্বাগত ও ধন্যবাদ জানাবে।’

খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে মানুষের বিবেককে জাগিয়ে তুলতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যে দেশ নয় মাসে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই দেশ খাদ্যে ভেজালমুক্ত হবে না, এটা হতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিভিন্ন কারণে এটা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাঙ্গালিদের মানসিকতাও ব্যাধিগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে, রেস্টুরেন্ট মালিকদের কোনো লজ্জা হচ্ছে না , মানুষের ক্ষতি করে তাদের বিকার হচ্ছে না। বড় আইনজীবি ও ব্যারিস্টাররাও টাকার জন্য এসব অপরাধীদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি সহায়তা দিচ্ছে। এসব কারণে খাদ্যে ভেজাল মিশিয়েও ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।’

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কৃষি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আলী আফজাল, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি ও প্রাবন্ধিক লায়ন মো. গণি মিয়া বাবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ব ম ফারুক, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুল হক, বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আরও অনেকে।