সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পালেরচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে নৈশপ্রহরী নিয়োগে সহায়তাকারী সেই প্রধান শিক্ষক হেকিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের ‘প্রাক্তন ছাত্ররা ও এলাকাবাসী’।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নে (বিইউজে) তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র রাব্বি আহমদ রবিন।
লিখিত বক্তব্যে প্রাক্তন ছাত্র রবিন বলেন, ১২ই মে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী নিয়োগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক মো. হেকিম উদ্দিনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেই। সেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘স্থানীয় আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে স্কুল স্কেচম্যাপ এরিয়ার পার্শ্ববর্তী আরো অনেক গ্রাম থাকা সত্ত্বেও তাদের না নিয়ে অন্য এলাকার সুনুল হক নামের একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরের এলাকার একজনকে নৈশপ্রহরী নিয়োগদানে সহায়তা করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেকিম উদ্দিন। যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী। যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সেই সুনুল হক প্রধান শিক্ষক হেকিম উদ্দিনের এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
রবিন জানান, সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ ছাপা হয়। অথচ, তদন্তের পূর্বেই প্রধান শিক্ষক এই অভিযোগ-দুর্নীতি ঢেকে রাখতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির লোকজনের মাধ্যমে অভিযোগকারীদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নিয়োগটি অবিলম্বে বাতিলের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি রেখে সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পালেরচকের মছব্বির আলী, চেরাগ আলী, পালেরচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিটিআই কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, প্রবাসী দাদু ভাই ছইল মিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মইনুল হক, তারেকুজ্জামান, আবদুল করিম, শফিকুর রহমান, আবদুস সামাদ, রেজাউল ইসলাম, সুমন আহমদ, রিপন আহমদ, সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পালের চক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এই প্রধান শিক্ষক হেকিম উদ্দিন। প্রতি অর্থ বছরের স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকের টাকা বিদ্যালয়ের অনুদান হিসাবে জমা হয়৷ কিন্তু এর অধিকাংশ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷