বেঙ্গালুরুকে ভারতের বিশ্বাসঘাতকতার রাজধানী বলা হয়। শিরোনাম শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই এটাই সত্য। ভারতের সদ্য প্রকাশিত গ্লিডেন-এর রিপোর্টে বেঙ্গালুরুকে দেশের ইনফিডেলিটি ক্যাপিটাল অর্থাৎ বিশ্বাসঘাতকতার রাজধানী বলা হয়েছে এই নগরীকে।
সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর ১.৩৫ লক্ষ মানুষ সক্রিয় ভাবে পরকীয়া করছেন। তাদের সাইটে এই মুহূর্তে যতজন সক্রিয় ইউজার রয়েছেন তার মধ্যে ৪৩ হাজার মহিলা ও ৯১ হাজার ৮০০ জন পুরুষ বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। ভারতের যেকোনও শহরের থেকে বেশি।
বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়রদের জন্য এখনও ভারতের সেরা জায়গা সিলিকন ভ্যালি। কাজের জন্য যেমন জনপ্রিয়, তেমনই প্রেমের জন্যও কিন্তু বেঙ্গালুরুর মনোরম আবহাওয়া বেশ উপযোগী। তাই পরকীয়ার ব্যাপারেও বেশ এগিয়েই রয়েছে এই শহর৷ এমনটাই জানাচ্ছে, এক্সট্রা ম্যারিটাল ডেটিং সাইট গ্লিডেন-এর সমীক্ষা।
গ্লিডেন-এর মার্কেটিং প্রধান সোলেন পাইলেট জানান, এই সাইটের ২৭ শতাংশ ইউজারই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। অনেকেই এই সাইটে এসে লেখেন, সাইন ইন করার পর থেকে কীভাবে তার জীবন বদলে গিয়েছে।
যেমন ৩১ বছরের এক মহিলা লিখেছেন, পরকীয়ায় জড়ানোর পর আমার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হয়েছে। আমার পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসার কোনও ইচ্ছা নেই। আমার ছেলে যদি কোনওদিন জানতে পারে তাহলে আমার মনে হবে। বুঝবে এই সম্পর্ক ওর মাকে খুশি করেছিল।
বেঙ্গালুরুর সাকরা ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রিস্ট নবীন জয়রাম জানান, সাধারণত মনের অমিল, দূরত্ব ও কাজের প্রয়োজনে একে অপরকে দেওয়া সময়ের অভাবেই জীবনে একঘেয়েমি আসে।
কীভাবে দুটো সম্পর্ক সামলে চলেন এরা? কীভাবেই বা কাটিয়ে ওঠেন অপরাধ বোধ? মনিপাল হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট ভূপেন্দ্র চৌধুরি বলেন, কিছু সময় পর দুটো সম্পর্ক একসঙ্গে বয়ে নিয়ে চলা বোঝা মনে হয়। তখন পার্টনারকে জানিয়ে দিতে চান তারা৷ তবে সেই সঙ্গেই তাদের মধ্যে গভীর অপরাধবোধও কাজ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু দেশের আইটি হাব হওয়ার কারণে বিভিন্ন শহর থেকে বহু মানুষ এখানে কাজ করতে আসেন। অনেকেই পরিবারের থেকে দীর্ঘ সময় দূরে থাকেন৷ ফলে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, কারও সঙ্গ পাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে৷ যার মধ্যে সব ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।