বোনের সঙ্গে ঢাকা শহরে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া বৃষ্টিকে (১২) উদ্ধারের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তার খোঁজে কেউ আসেননি। ঠিকানা উদ্ধার করতে না পারাতে কিশোরীকে তার অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেয়াও সম্ভব হয়নি। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে আশ্রয়দাতা পরিবারের সদস্যরা।
বৃষ্টির অভিভাবকদের খোঁজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, থানা পুলিশ এমনকি মাইকে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু কেউ তার খোঁজে আসেনি।
প্রসঙ্গগত, গত ১৬ মে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে বাসের দুই শ্রমিক ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল বৃষ্টি নামের অসহায় কিশোরীকে। এ ঘটনা চোখে পড়ে এক স্কুল শিক্ষিকার। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা তখন মেয়েটির পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। তখন মেয়েটির কাছ থেকে তার সঠিক পরিচয় ও ঠিকানা জানতে পারেননি।
তবে সে বারবার বলছিল তার বাড়ি ভৈরবে। ভৈরবের কথা শুনে একই জেলা এবং পাশাপাশি উপজেলা হওয়ায় শিক্ষিকা কিশোরী বৃষ্টিকে তার সঙ্গে ভৈরবে নিয়ে যান।
ভৈরবে গিয়ে ওই শিক্ষিকা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর হেফাজতে মেয়েটিকে রেখে যান।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ জানান, তিনি মেয়েটিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মেয়েটির ছবি দিয়ে এবং স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেয়েটির আত্মীয়দের সন্ধানে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘ ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তার খোঁজে কেউ আসেননি।
বৃষ্টির ভরণপোষণের দায়িত্বে থাকা মেয়রের বড় ভাই মরহুম ফয়সুল আলমের একমাত্র মেয়ে ফাহিমা আলম লিফা বলেন, কাকার (মেয়র) নির্দেশে আমি বৃষ্টিকে আমার বাসায় রেখেছি। কিন্তু ওর অভিভাবকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত স্বস্তিবোধ করছি না। ওকে হারিয়ে না জানি ওর স্বজনরা কত টেনশনে আছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ফাহিমা আলম লিফা জানান, বৃষ্টির বাবার নাম সমশের ও মা শাবনূর। বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। বোনের নাম মীম এবং সাগর নামের তার এক ভাই মাদ্রাসায় পড়ে। গ্রামের নাম কোনোভাবেই মনে করতে পারছে না বলে জানায়।
এর চেয়ে বেশি জানার চেষ্টা করলে সে কোনো জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকে বলে জানান লিফা।