ফরিদপুরে কৃষকের দুর্দশা লাঘব করার উদ্দেশ্যে ধান কেটে দিলেন জেলা ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরুছায়ার সদস্যরা।
রবিবার (২৬ মে) ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের মালাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের মতো ফরিদপুরের কানাইপুরেও চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটার দিন মজুর সঙ্কট ও পাশাপাশি দেখা যায় বাড়তি মজুরির চাহিদা। ফলে বিপাকে পড়েছেন কানাইপুরের মালাঙ্গা গ্রামের দুই কৃষক টুকু মিয়া ও ফজলু শেখ।
এমনি সঙ্কটময় সময়ে দুই কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন।
রবিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগ দেন, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকির মো. সুজায়েত হোসেন, তরুছায়ার সভাপতি খালেদ মাহমুদ সজিবসহ ছাত্রলীগ ও তরুছায়ার অন্য সদস্যরা।
ওই গ্রামের কৃষক টুকু মিয়া জানান, দিনমজুর সঙ্কট ও বাড়তি মজুরির কারণে তিনি মাঠে ধান পেকে গেলেও কাটতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে অর্ককে নিয়ে ১৫ কাঠা জমির ধান কাটাতে শুরু করেন তিনি।
এরকম দুর্দশার খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এসে ধান কাটতে তাদের সাথে যোগ দেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তরুছায়ার সদস্যরা ধান কাটতে সহযোগিতা করেন।
ফলে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আরো জানান, তার এরকম দুর্দশাগ্রস্থ সময়ে এত বড় উপকার করাতে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছাত্রলীগ ও তরুছায়ার সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকির মোঃ সুজায়েত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শোভন ভাই ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী ভাইয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আমরা আজকে কৃষকের পাকা ধান কাটতে মাঠে নেমেছি।
এছাড়াও তিনি ছাত্রলীগসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে কৃষকদের এই সঙ্কটাপন্ন সময়ে তাদের পাশে দাড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় রাখতে বলেন।
তরুছায়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব খালিদ মাহমুদ সজীব বলেন, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা না হলে সরকারের এই মহতী উদ্যোগের সুফল পাবে না কৃষক। সেটা নিশ্চিত করা জরুরি প্রয়োজন। এছাড়া তরুছায়ার সদস্যরা কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার কৃষকের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাবে।
এ বিষয়ে কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমিও কৃষকের সন্তান। তাই ওদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি নিজে গর্বিত।