Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন কাজী নওশাবা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ০৭:৪৯ PM
আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ০৭:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এছাড়া জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিনেত্রী নওশাবার বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলার চার্জশিটে মনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা যায়, তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী সরকার এ চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ২০ জনকে। ২৮ মে মামলাটি শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

চার্জশিটে শওকত আলী সরকার উল্লেখ করেন, আসামি কাজী নওশাবা ইচ্চাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকরত জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনোর জন্য মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং প্রচার করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ (সংশোধনী) এর ৫৭ (২) ধারায় অপরাধ করেছে।

মামলার এজাহারে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট কাজী নওশাবা নিজের ফেসবুক থেকে অত্যন্ত আবেগী কণ্ঠে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে বলেন, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে একজনের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে এবং চারজনকে মেরে ফেলেছে। আপনারা যে যেখানে আছেন, কিছু একটা করেন।’

এজাহারে আরও বলা হয়, এ আহ্বানের ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী তার এই প্রোপাগান্ডার উৎস জানতে ফোন করলে এর স্বপক্ষে সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি। ওই সময় জিগাতলায় এ ধরনের কোনো ঘটনাও ঘটেনি।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ সালের ৫৭(২) ধারায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন।

Bootstrap Image Preview