Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কনডেম সেলে ফুপিয়ে কাঁদেন সেই ঐশী, রাখছেন নামাজ-রোজাও

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ০৬:৪২ PM
আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ০৬:৪২ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


কনডেম সেলে প্রায়ই অনুশোচনায় নির্বাক ও নিস্তব্ধ হয়ে থাকেন বাবা-মাকে হত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঐশী রহমান। কনডেম সেলে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদেন। এবার রমজানের শুরু থেকে রোজা রাখছেন ও পাশাপাশি নামাজও পড়ছেন নিয়মিত।

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, একসময় বখে যাওয়া ও চরম উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঐশী রহমান এবার রমজানের নিয়মিতই রোজা রাখছেন। সেখানে আটক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঐশী এখন আর আগের মত আচরণ করছেন না ।

কারাসংশ্লিষ্টরা জানান, ঐশীর জীবন থেকে কলঙ্কিত নেশা জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে। সে এখন অনেকটা স্বাভাবিক। কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। মাঝেমধ্যে অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে তার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়াতে দেখা যায়। নাওয়া-খাওয়ার দিকে সে বিশেষ একটা মনোযোগী নয়।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখা (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যান ঐশী। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিন ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি পৃর্থক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর আইনে এবং ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অরেকটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সুমির মামলার বিচার কার্যক্রম কিশোর আদালতে পরিচালনা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধান আসামি ঐশী রহমানকে ডাবল মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অপর দুই আসামি ঐশীর বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জনিকে খালাস দেওয়া হয়।

Bootstrap Image Preview