Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করায় স্বজনদের মারধর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০১৯, ০৭:৩৪ PM
আপডেট: ২৫ মে ২০১৯, ০৭:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করায় রোগীর স্বজনদের মারধর করেছেন চিকিৎসক ও স্টাফরা। 

শুক্রবার (২৪ মে) এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে সকালে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীর পরিবার।

জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার মরহুম তালু আকন্দের ছেলে মুকুল আকন্দকে (৫৫) শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

এ সময় রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন তারা। অসুস্থ ওই রোগীর শ্বাসকষ্ট থাকায় হাসপাতালের অক্সিজেন দিয়ে ভাড়া করা অ্যাম্বুলেন্সে নিতে চান স্বজনরা। এতে অস্বীকৃতি ও রোগীর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান হাসপাতালের স্টাফরা।

তবে হাসপাতাল থেকে রোগীকে বাইরে আনার কিছুক্ষণ পরই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজীবকে অভিযোগ করলে ওই চিকিৎসক তাদের ওপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

একপর্যায়ে ওই চিকিৎসকের সহযোগীরা জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্বজনরা প্রতিবাদ করলে তাদের আটক করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সজীবসহ ২০/২৫ জন ইন্টার্ন শিক্ষার্থী তাদের মারপিট করেন।

হাসপাতালের এমন পরিস্থিতির সংবাদ পেয়ে বেশ কয়েক সংবাদকর্মী মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হন ইন্টার্ন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও আটকদের উদ্ধার করে।

নিহত রোগীর স্ত্রী হাসিনা জানান, অক্সিজেন না দেওয়া ও ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি ও তার ভাগ্নি মুক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজীবের কাছে অভিযোগ করলে ওই চিকিৎসক উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।একপর্যায়ে চিকিৎসক সজীবের সহযোগীরা তাদের মারধর করেন এবং জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করে তাদের পুরুষ স্বজনরা প্রতিবাদ করলে তাদের আটক করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সজীবসহ ২০-২৫ জন ইন্টার্ন শিক্ষার্থী তাদের মারপিট করেন। মারপিটে তিনি, তার বড় ছেলে মাসুদ আকন্দ, মেজ ছেলে রাসেল আকন্দ, ভাগ্নে মিলন আকন্দ, ভাগ্নি মুক্তি, ভগ্নিপতি শামুসর রহমান এবং প্রতিবেশী শাহাদত হোসেন গুরুতর আহত হয়।

এ ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক ও স্টাফদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে গতকাল শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ছোট ভাই হুমায়ন আকন্দ রশিদ সোনা।

এই বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান জানান, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করার ঘটনা নিয়ে রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Bootstrap Image Preview