অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বন্ধের লক্ষ্যে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে: ডিএমপি কমিশনার

ঈদের সময় বিআরটিএ’র নির্ধারিত চার্টের বাইরে কোনো পরিবহণ প্রতিষ্ঠান যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি আরও বলেন,অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বন্ধের লক্ষ্যে আমার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও ঈদ পর্যন্ত মাঠ থাকবে।

ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি পরিদর্শন ও  ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় দুপুরে রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে একথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া।

এ সভায়  মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন মালিক, চালক ও হেল্পার উপস্থিত ছিল মতবিনিময় সভা।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে, সেইসঙ্গে অন্য বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কাজ করছে। চার্টের নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যেই হোক, যত ক্ষমতাশালীই হোক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, গাড়ির চালক ও হেলপারসহ যানবাহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কেউ মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ হলে তাকে ডোপ টেস্ট করান। তাকে গাড়ির কাজে নিয়োগ করবেন না। প্রয়োজনে পুলিশ আপনাদের সহযোগিতা করবে। মাদকাসক্ত কোন লোক গাড়ির চালক, হেলপার ও কনডাক্টর হতে পারবে না।

ঈদকে সামনে রেখে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, কোন রকম নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াই নগরবাসী পরিবার-পরিজনসহ শপিং, ঈদ উৎসব ও নির্বিঘ্নে চলাচল করবে তাদের নিরাপত্তাহীনতা ঘটবে না। এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আমরা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ভাইদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি।

তিনি বলেন, শতাধিক অজ্ঞান পার্টি, চোর ও ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রাতদিন ২৪ ঘণ্টা পোশাকে ও সাদা পোশোকে নগরীতে পুলিশ নজরদারী করছে। বিশেষ করে বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাট ও রেল স্টেশনে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহর থেকে বের হওয়ার পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

এসময় ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. উসমান আলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আবুল কালামসহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।