Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করল মসজিদ কমিটি, ইমামকে বহিস্কার

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০১৯, ০৪:৪৬ PM
আপডেট: ২৫ মে ২০১৯, ০৪:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


পটুয়াখালীর কুয়কাটা কেন্দ্রিয় বাইতুল আরজ জামে মসজিদের দৃশ্যমান সাড়ে আট লক্ষ টাকাসহ মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ মুসল্লিরা দুর্নীতিগ্রস্ত পরিচালনা পর্ষদসহ ইমাম হুমায়ুন কবিরকে বহিস্কার করেছে। পাশপাশি তসরুপকৃত টাকা পরিশোধের মুচলেকা আদায় করেছে।

মসজিদ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অনুদান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই র্নিমাণ কাজ, সংস্কার, খতিব ও মুয়াজ্জিমের বেতনসহ পরিচালনা ব্যয়ভার বহন হয়ে আসছে জেলার পর্যটন নগরী কুয়কাটার জিরো পয়েন্টে অবস্থিত কেন্দ্রিয় বাইতুল আরজ জামে মসজিদের। হিসবারক্ষকের পদ না রেখেই প্রায় দশ বছর ধরে মসজিদ পরিচালনা করছেন সভাপতি শাহ-আলম শেখ ও সধারণ সম্পাদকর সোহরাব শেখ।

দীর্ঘ অনেক বছরেও কোন হিসাব প্রদান না করায় মে মাসের ১০ তারিখে জুম্মার দিন মুসল্লিদের দাবির মুখে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাবের জন্য শেখ জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি নীরিক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। এতে দেখা যায় অগ্রণী ব্যাংক কুয়াকাটা শাখায় মসজিদের নামে খোলা একাউন্ট শূন্য পড়ে রয়েছে।

নীরিক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুর আলম শেখ জানান, হিসাবান্তে দেখা যায় ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালে ১০ মে পর্যন্ত সকল ব্যয়ভার বহনের পরেও সভাপতি শাহ-আলম শেখের কাছে ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ১৫৬ টাকা এবং সাধারণ সম্পাদক সোহরাব শেখের কাছে ৭২ হাজার ৮৫০ টাকাসহ মোট ৮ লক্ষ ২৫ হাজার ৬ টাকা পাওনা রয়েছে। এছাড়াও সোহরাব শেখের কাছে ৪০ বস্তা খোয়া গচ্ছিত রয়েছে।

নীরিক্ষা কমিটির সভাপতি শেখ জিয়াউর রহমান জানান, ১৭ মে ২০১৯ তারিখের মধ্যে এসব টাকা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমাদানের জন্য নীরিক্ষা কমিটি নোটিশ প্রদান করা হলেও এখনো তারা টাকা পরিশোধ করেনি। সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৩০ ডিসেম্বরের মধ্য টাকা পরিশোধের সময় চেয়েছেন। মসজিদের টাকা পরিশোধ না করা হলে আাইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসুল্লি জানান, মসজিদের টাইলস ও এসি শাহ-আলম শেখ অনুদান হিসাবে প্রদান করলেও টাকার হিসাবে ঘাটতি দেখা দিলে এর মূল্য বাবদ ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৭৯০ টাকা কেটে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, মাসিক সাড়ে নয় হাজার টাকার বেতনের মসজিদ ইমাম হুমায়ুন কবির মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে কুয়াকাটায় ২০ লক্ষ টাকার জমি ক্রয় করেছেন কিভাবে তা খতিয়ে দেখা উচিৎ।

অন্য এক মুসুল্লি দাবি করেন, জেলা পরিরষদ ডাক বাংলোর কেয়ার টেকার মসজিদের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব শেখের র্নিমিত হোটেলের ইট, বালু, রট, সিমেন্ট ও ফ্যান সবই মসজিদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহরাব জানান, ১৯৯৬ সালে আমার মরহুম পিতা হাজী ছোমেদ শেখ জমি দান করার পরে মসজিদটি র্নিমাণ করা হয়। যদিও আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা রয়েছে, কিন্তু নিরীক্ষা কমিটি ৭২ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। সভাপতি শাহ-অলম শেখ মসজিদের হিসাব পরিচালনা করতেন। বিভিন্ন সময়ে কাজ করতে গিয়ে হিসাব লিখে না রাখার কারণে এমন গড়মিল হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি শাহ-আলম শেখের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা যায়নি।

Bootstrap Image Preview