সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরের প্রতিটি ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছে থেকে ধান ক্রয়ের দাবিতে স্থানীয় বাসদ বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় মনিরামপুর বাজার সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আধাঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন চলাকালে এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাসদ নেতা আব্দুল আলীম ফকির, কবির আজমল বিপুল, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল মজিদ, নওশাদ আলী, লিয়াকত হোসেন ও সানোয়ার হোসেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।
এসময় বক্তারা বলেন, এবছর শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নে প্রায় ২২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এতে ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে বাজারে ধানের ব্যাপক আমদানি হয়েছে। অথচ সরকারিভাবে শাহজাদপুরে এখনও ধান ক্রয় শুরু করা হয়নি। ফলে প্রান্তিক কৃষকরা হাট-বাজারের ফরিয়া ও দালালদের কাছে পানির দরে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে প্রতি মণ ধানে কৃষকের লোকশান দিতে হচ্ছে সাড়ে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা।
তাই সরকারিভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র খুলে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করতে হবে। তবেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে।
বক্তারা আরো বলেন, গত ২৫ এপ্রিল থেকে সরকার ধান ক্রয় শুরু করেছে। কিন্তু শাহজাদপুরে এখনও ধান ক্রয় শুরু করে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা হচ্ছে না। শাহজাদপুর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক ইয়াসিন আলী নানা টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করছে। সেই সাথে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও পছন্দের ডিলারদের কাছে থেকে ধান ক্রয়ের পায়তারা করছে। অবিলম্বে সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন, গত ৬ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারিভাবে ২৬ টাকা কেজি দরে ৭৬৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয় শুরুর নির্দেশনা দিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক ইয়াসিন আলীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেনো এখনও ধান ক্রয় শুরু করা হয়নি তা আমাকে জানানো হয়নি। ফলে বিষয়টি আমার জানা নেই।
শাহজাদপুর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক ইয়াসিন আলী সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। অচিরেই ধান ক্রয় শুরু করা হবে।