Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাগফিরাতের শেষ জুমা আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৯, ১০:৫৭ AM
আপডেট: ২৪ মে ২০১৯, ১০:৫৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পবিত্র রমজান মাসে রহমতের দশ দিন পার হয়েছে। আজ মাগফিরাতের দশকের শেষ জুমা। এবারের মাগফিরাত দশকে দুটি জুমার নামাজ আদায়ের ভাগ্য হচ্ছে মুসল্লিদের। গত সপ্তাহে প্রথম জুমার পর আজ মাগফিরাত দশকের শেষ জুমা আদায় করবেন মুসল্লিরা। তথাপি জুমার দিনটি নিজেই ইবাদতপূর্ণ। বিশেষ করে রোজার মাসের জুমার দিনগুলো আরো বেশি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও ইবাদতে পরিপূর্ণ হওয়ার মতো সময়।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে এমনিতেই জুমার নামাজের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। রমজান মাসের মাগফিরাত দশকের শেষ জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত আরো বেশি। এজন্য এ সময় মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ভিড় বেশি থাকে।

এবিষয় রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত লাভের এবং তৃতীয় ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভের। (মিশকাত)

তাই ইবাদতপূর্ণ এই দিনে আমাদের মহান আল্লাহ তায়অলার নৈকট্যের আশায় বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত।

জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মমিনরা! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশ্যে দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। (সূরা জুমা: ৯)

জুমার আজানের আগেই সব কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। শুক্রবার মুসলমান জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে মানুষ যে দোয়া করে তাই কবুল হয়। এ দিনে বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন- যে উত্তমরূপে ওজু করবে অতঃপর জুমার মসজিদে গমন করবে এবং মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শ্রবণ করবে তার এ জুমা থেকে পূর্ববর্তী জুমাসহ আরও তিন দিনের গোনাহগুলো ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি খুতবা শ্রবণে মনোযোগী না হয়ে খুতবা চলাকালীন কঙ্কর-বালি নিয়ে নাড়াচাড়া করলো, সে যেন অনর্থক কাজ করলো।’ (মুসলিম শরিফ : ১/২৮৩)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, ‘মহানবী (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ তেলাওয়াত করবে তার (ঈমানের) নূর এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।’ (মেশকাত শরিফ : ১৮৯)

উপরোক্ত হাদিসগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত, জুমার দিনে মুসলমানদের জন্য কর্তব্য হচ্ছে, সব ব্যস্ততা ত্যাগ করে আজানের আগেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে মসজিদে গমন করা, খুতবা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা, খুতবা চলাকালীন কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকা, জুমার দিনে যে কোনো সময় সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা এবং জুমার দিনে আল্লাহ তাআলার কাছে বিশেষভাবে প্রার্থনা করা। বিশেষ করে রমজানের মাসের মাগফিরাত দশকের জুমার দিন এই ইবাদত বেশি বেশি করে আদায় করা উচিত।

Bootstrap Image Preview