Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘অনেক টাকার মালিক, জানি না কিভাবে লাইসেন্স বের করেন, এখন আমাদের রেহাই দিন’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯, ০৫:৪৬ PM
আপডেট: ২৩ মে ২০১৯, ০৮:১৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রীতিমত সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। যেখানেই অনিয়ম, সেখানেই ফেসবুক খুলে লাইভে আওয়াজ তুলছেন তিনি। শত শত ব্যবহারকারী সেই ফেসবুক লাইভ শেয়ার করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, আর হাজার হাজার ভিউ’র সেই ভিডিও নজরে নিতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনের প্রথমে যে ক’টি অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেই অনিয়মগুলো দিনের পর দিন চলতে থাকলেও ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের এমন ‘ফেসবুক লাইভ আন্দোলন’র ফলে অবিলম্বে সমাধান দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তেমনি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রিনরোডে দাঁড়িয়ে এক ফেসবুক লাইভে এই রাস্তার অসহনীয় জ্যামের কারণ তুলে ধরেন। তিনি এ সময় এই এলাকার ৪৫ হাসপাতালকে দায়ী করেন রোডের জ্যামের জন্য।

তিনি বলেন, এই রোডে এতো হাসপাতাল কেন হেই রোডে ঢুকলে প্রথমে কমফোর্ট, এরপর গ্রিনলাইফ, এরপর সেট্রাল, এরপর ল্যাবএইড, এরপর গণস্বাস্থ্য। একটা রোডের দুই পাশে ৪৫ টা হাসপাতাল লাইসেন্স পায় কীভাবে? এই গ্রিন লাইফ হাসপাতাল তার সামনে অসংখ্য গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে পার্কিং এর জন্য। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষদের নিকট থেকে এই হাসপাতাল ১৫ মিনিট খেয়ে ফেলে। এভাবে প্রত্যকে হাসপাতাল সময় খেয়ে নিচ্ছে। এই আবাসিক এলাকায় কেন এতো হাসপাতাল থাকবে?

সুমন বলেন, গ্রিনরোড এখন হাসপাতাল মালিকদের দখলে। এই রাস্তায় হচ্ছে নতুন একটি মেডিক্যাল কলেজ। ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ। এই হাসপাতাল হবার পরে আরো ১৫ মিনিট যোগ হবে। এই রাস্তা পুরো থেমে যাবে একটা সময়। আপনারা (হাসপাতাল মালিকেরা) অনেক টাকার মালিক, জানি না কীভাবে আপনারা লাইসেন্স বের করে আনেন। এখন আমাদের রেহাই দিন।

সুমনের লাইভের সময় সেখানে স্থানীয় জনতা ও রিকশাচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। তারাও বেইসব হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন।

অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘ফেসবুক লাইভ’ আন্দোলন নিয়ে সায়েদুল হক সুমন বলেন, প্রযুক্তির এমন সদ্ব্যবহারের কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিলো না। শিক্ষাজীবন থেকেই আমি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত। কাজ করতে করতেই দেশে আধুনিক প্রযুক্তির প্রচলন ঘটে। মনে হচ্ছিলো ছোট একটা ভালো কাজ করে যদি প্রচার করা যায়, তাহলে আরও হাজারটা ভালো কাজ হবে। এক পর্যায়ে ধীরে ধীরে ফেসবুক লাইভে কথা বলার সাহস পাই। ভালো সাড়াও আসে সব জায়গা থেকে।

প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জের সায়েদুল হক সুমন ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করার পর ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যান। সেখানে সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বার অ্যাট ল’ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। আইনজীবী হলেও সুমন পরিচিতমুখ হয়ে উঠেছেন অনিয়মের বিরুদ্ধে তার ‘ফেসবুক লাইভ আন্দোলন’র মাধ্যমে।

Bootstrap Image Preview