Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

এনায়েতপুরে সরকারি জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পে নয়-ছয়, বিক্রি হচ্ছে মাটি

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯, ০৪:৫৬ PM
আপডেট: ২৩ মে ২০১৯, ০৪:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সৈয়দপুরে সরকারি জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে নয়-ছয় চলছে। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত জলাশয়ের দলপতি সুজাবত আলম নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করে দায়সাড়া কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুধু তাই নয় গভীরতা বাড়াতে যে মাটি খুড়ে পাড়ে দেবার কথা তা না করে প্রতিদিন অগনিত ট্রাক মাটি বিক্রি করছেন তিনি। এমন অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার কথা জানিয়েছে তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা মৎস্য বিভাগ।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ-এনায়েতপুর-পাঁচিল সড়কের পূর্ব পাশে সড়ক ঘেঁসে জলাশয়গুলোর অবস্থান। এর মধ্যে এনায়েতপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামে সাড়ে ১০ বিঘা সরকারি একটি জলাশয় দীর্ঘদিন ধরে দলপতি সুজাবত আলমের। জলাশয়টি পুনঃখনন করার জন্য ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা মৎস্য অধিদপ্তর হতে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ৫ ফুট গভীর করে জলাশয়টি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে উপরিভাগে ৮ ফুট প্রস্ত রাস্তা তৈরী করতে। কিন্তু দলপতি সুজাবত আলী নিয়োমানুযায়ী কাজ না করে বেকু দিয়ে মাটি তুলে তা ট্রাকে বিক্রি করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, যেভাবে কাজ করার কথা তা না করে স্বল্প টাকায় বেকু দিয়ে কাজ চলছে। জলাশয় খুড়ে পাড়ে মাটি না দিয়ে দিনভর ট্রাকে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় জলাশয়ের পাড়ের গাছগুলোও সে নিজে নিজে কেটে নিচ্ছে।

এলাকার বন বিভাগের গাছ পাহাড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত রুপচাঁন আলী শেখ জানান, জলাশয়ের পাড়ের গাছগুলো বন বিভাগের। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা জলাশয় দলপতি সুজাবত আলম তা কেটে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৫/২০টি গাছ তিনি কেটে নিয়েছেন।

এদিকে বিষয়গুলো নিয়ে সৈয়দপুর জলাশয়ের দলপতি সুজাবত আলী জানান, নিয়মের চেয়েও ভাল কাজ করছি আমরা। তবে কিছু মাটি ট্রাক দিয়ে বিক্রি করলেও এখন হচ্ছে না। আর পাড়ের গাছগুলো বন বিভাগের না আমার নিজের লাগানো।

সরকারি জলাশয় পুনঃখনন কাজে অনিয়ম ও মাটি বিক্রির বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার মাহবুবুল হক জানান, ঐ দলপতি খুবই কৌশলী। তার কাজে অনিয়ম হচ্ছে সেটা আমাদের প্রকৌশলীরা দেখে এসেছে। মাটিও চুরি করে বিক্রি করছে বলে শুনেছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ কাজের বিল যাতে না পায় সে ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview