ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে বিভিন্ন পন্থা।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে তৈলাক্ত ত্বক নিয়ন্ত্রণে রাখার কয়েকটি উপায় এখানে দেওয়া হল।
সঠিক পরিষ্কারক বাছাই: ত্বকের সঙ্গে মানানসই এমন ফেইসওয়াশ নির্বাচন করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা ও স্বচ্ছ অর্থাৎ ঘন ক্রিমের মতো নয় এমন ফেইসওয়াশ বেশি ভালো। বেনজোয়েল পারক্সাইড, টি ট্রি তেল এবং স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে এমন ফেইসওয়াশ বেছে নিন, এটা তৈলাক্ত ত্বকে ভালো কাজ করে।
ভারী মেইক আপ এড়ানো: ফাউন্ডেশনের মতো ভারী মেইক আপ এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো লোমকূপও বন্ধ করে রাখে এবং তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করে। হালকা ময়েশ্চারাইজার বা সিলিকন সমৃদ্ধ বিবি ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। এটা ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তরল প্রসাধনীর বদলে পাউডার-জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: অনেকেই মনে করেন তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয় না। এটা ভুল ধারণা। বরং এই ধাপ এড়িয়ে চলার কারণে ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়। তাই নারিকেল তেল, পেট্রোলিয়াম এবং কোকো বাটারের পরিবর্তে অ্যালো ভেরা, গ্লিসারিন এবং হ্যালুক্রাইন অ্যাসিড আছে এমন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
টোনার ব্যবহার: ত্বক ভালো রাখতে অবশ্যই টোনার ব্যবহার করতে হবে। এটা ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। লোমকূপ পরিষ্কার করতে অ্যালকোহল মুক্ত মৃদু টোনার ব্যবহার করা উচিত।
ব্লটিং পেপার ব্যবহার: বাইরে থাকা অবস্থায় মুখের তেলভাব কমাতে ব্লটিং পেপারের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। এটা বাড়তি তেল কমাতে সাহায্য করে এবং মুখের চিটচিটেভাব দূর করে।